সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপের (ICC Men’s World Cup 2023) প্রথম ম্যাচেই নজর কাড়েন নিউজিল্যান্ডের রাচীন রবীন্দ্র (Rachin Ravindra)। এবারের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে রাচীন রবীন্দ্র ও ডেভন কনওয়ের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে দুরমুশ করে কিউয়িরা। এই দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরি দেখার পরে অনেকেই বলছেন, রবীন্দ্র ও কনওয়ে ২০১১ সালের বীরেন্দ্র শেহওয়াগ ও বিরাট কোহলিকে মনে করিয়ে দিলেন। উল্লেখ্য, বীরু ও কোহলি ২০১১ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন।
আহমেদাবাদে রবীন্দ্রর জমাটি ব্যাটিংয়ের কোনও উত্তর ছিল না ইংল্যান্ডের বোলারদের কাছে। রাচীন রবীন্দ্রর ব্যাটিংয়ে যেন রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন তেণ্ডুলকরের ছোঁয়া। তেমনই ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাচীনের নামের সঙ্গে মিশে রয়েছেন ভারতের দুই কিংবদন্তি–রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন তেণ্ডুলকর । রাহুলের ‘Ra’ এবং Sachin-এর ‘Chin’ মিলিয়েই Rachin। তাঁর বাবা এই দুই ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে পছন্দ করতেন। সেই কারণেই ছেলের নাম রাখেন রাচীন।
[আরও পড়ুন: Tilak Varma: অর্ধ শতরানের পর জার্সি তুলে ফুটবলারদের মতো তিলকের সেলিব্রেশন! কিন্তু কেন? দেখুন ভাইরাল ভিডিও]
রাচীন রবীন্দ্রর বাবা-মা বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। বেঙ্গালুরু থেকে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে চলে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রর বাবা রবি কৃঞ্চমূর্তি ও মা দীপা। বাবা পেশায় সফ্টওয়্যার আর্কিটেক্ট। ক্রিকেট তিনি ভালোবাসতেন। একসময়ে নিজেও ক্লাব ক্রিকেট খেলেছেন।
২০১৯ সালের গ্রীষ্মে ভারতে এসেছিলেন রাচীন। বেঙ্গালুরুর একটি পানশালাতে বসে সেবারের বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখেছিলেন তিনি। লর্ডসের ঐতিহাসিক ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হার মেনেছিল নিউজিল্যান্ড। চার বছর পরের এক বিশ্বকাপে মধুর প্রতিশোধ নিল কিউয়িরা। ম্যাচ জেতায় অবদান রাখেন রবীন্দ্র। একসময়ে কিউয়ি এই ক্রিকেটারকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ”আমার বাবা বেশ কয়েকজন বয়সভিত্তিক ছেলে নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ফাইনাল একটি পানশালায় বসে দেখেছিলাম। নিউজিল্যান্ডকে সমর্থন করছিলাম। আমাদের চারপাশে ছিলেন ভারতীয়রা। সেই অভিজ্ঞতা কখনও ভোলার নয়।”