সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে আর মাত্র কয়েকটা ঘণ্টা। চলতি বিশ্বকাপের (ICC ODI World Cup 2023) মেগা ফাইনালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া (IND vs AUS) মহারণের অপেক্ষায় রয়েছে ক্রিকেট দুনিয়া। মেগা ফাইনালের বল মাঠে পড়ার আগে ২০০৩ ও ২০২৩ সালের দুই দলের মধ্যে একাধিক মিল রয়েছে। সেগুলো সংবাদ প্রতিদিন.ইন-এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।
টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত: ২০০৩ সালে রিকি পন্টিং-এর (Ricky Ponting) অস্ট্রেলিয়া, লিগ ও নকআউট পর্বে মোট ১০টি ম্যাচ জিতে ফাইনাল খেলতে নেমেছিল। এবার রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) ভারতীয় দলও ঠিক সেভাবেই ১০টি ম্যাচ জিতে, ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের বাইশ গজে নামবে।
টানা ৮ ম্যাচ জয়: ২০০৩ সালে অজিদের কাছে লিগ পর্বের ম্যাচে হারলেও, এর পর টানা আট ম্যাচ জিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) দল ফাইনাল খেলতে নেমেছিল। ঠিক সেভাবে এবার অজিরা জোড়া হার দিয়ে অভিযান শুরু করলেও, প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins) নেতৃত্বে টানা আট ম্যাচে জিতে ফাইনালের টিকিট হাতে পেয়েছে।
[আরও পড়ুন: ইউটিউবে ভিউয়ার বাড়ানোর ‘লোভ’, ইডেনে মিলারের সঙ্গে সেলফি তোলার চেষ্টায় ধৃত যুবক]
রাহুল দ্রাবিড় ও কেএল রাহুল, দুই স্টপগ্যাপ উইকেটকিপার: ২০০৩ সালের কাপযুদ্ধে রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) টিম ইন্ডিয়ার স্টপগ্যাপ উইকেটকিপারের ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১১ ম্যাচে ৩১৮ রান করার পাশাপাশি সেবার ১৬টি আউটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ‘দ্য ওয়াল’। সঙ্গে ছিল ১৫টি ক্যাচ ও ১টি স্টাম্প। কাকতালীয়ভাবে সেবার দ্রাবিড় ছিলেন দলের সহ অধিনায়ক। এবার কেএল রাহুলের (KL Rahul) ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তাই। হার্দিক চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতেই তাঁকে রোহিতের ডেপুটি করে দেওয়া হয়। ১০ ম্যাচে কেএল রাহুলও ১৬টি আউটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি ক্যাচ ও ১টি স্টাম্প। এদিকে কিপিং-এ নজর কাড়ার সঙ্গে ১০ ম্যাচে ৩৮৬ রান করেছেন কেএল রাহুল।
সেবার শীর্ষে ছিলেন শচীন, এবার সিংহাসনে বিরাট: ২০০৩ সালের কাপযুদ্ধে ১১ ম্যাচে ৬৭৩ রান করে শীর্ষে ছিলেন শচীন তেণ্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। গড় ৬১.১৮। সর্বোচ্চ বারমুডার বিরুদ্ধে ১৫২ রান। ৮৯.২৫ স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে ১টি শতরান ও ৬টি অর্ধশতরান করেছিলেন ‘গড অফ ক্রিকেট’। যদিও ২০ বছর আগের ফাইনালে মাত্র ৪ রানে আউট হয়েছিলেন শচীন। এদিকে এবার ১০ ম্যাচে ৭৭১ রান করে সবার উপরে রয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। সর্বোচ্চ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১১৭ রান। গড় ১০১.৫৭। ৯০.৬৮ স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে ৩টি শতরান ও ৫টি অর্ধশতরান করেছেন কিং কোহলি। এবারের মেগা ফাইনালে বিরাট কত রান করেন সেটাই দেখার।
ফাইনালে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া মহারণ: ২০০৩ সালে বিশ্বকাপ ফাইনাল জেতার সুবাদে সেই সময় পর্যন্ত তিনবার বিশ্বজয়ী হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ১৯৮৭ সালে অ্যালান বর্ডার (Allan Border), ১৯৯৯ সালে স্টিভ ওয়া (Steve Waugh) এবং ২০০৩ সালে পন্টিংয়ের নেতৃত্বে বিশ্বজয়ী হয়েছিল অজি বাহিনী। এদিকে রোহিতের অধিনায়কত্বে ভারত যদি এবার বিশ্বকাপ জিতে যায়, তাহলে তৃতীয়বার ফাইনাল জেতার স্বাদ পাবে ‘মেন ইন ব্লু’ ব্রিগেড। ১৯৮৩ সালে কপিল দেব (Kapil Dev), ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) পর এবার ভারতের বিশ্বজয়ী হওয়ার সুযোগ রয়েছে।