সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বীরেন্দ্র শেহওয়াগকে (Virender Sehwag) থামানোই যাচ্ছে না। X হ্যান্ডেলে একের পর টুইট বর্ষণ করে পাকিস্তানকে (Pakistan) বিদ্ধ করেই চলেছেন ভারতের (India) প্রাক্তন ওপেনার। চলতি বিশ্বকাপে (ICC ODI World Cup 2023) বাবর আজমদের (Babar Azam) পারফরম্যান্স মোটেও ভালো নয়। ইংল্যান্ডের (England) বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) খেলার পরেই দেশে ফিরবে পাক দল। এর আগে ফের একবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশকে ব্যাপকভাবে কটাক্ষ করলেন নজফগড়ের নবাব। এই প্রসঙ্গে ২০২২ সালে ভারতীয় দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদরা কীভাবে ভারতকে বিদ্ধ করেছিলেন। ভারতে এসেই সেনাকে অপমান করেছিলেন বাবররা! সেটাও তুলে ধরেছেন ‘মুলতানের সুলতান’। তাঁর সেই টুইট এবং ইনস্টাগ্রাম পোস্ট এই মুহূর্তে সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল।
X হ্যান্ডেলে বীরু লিখেছেন, ‘একুশ শতকে আমরা ৬টা বিশ্বকাপ খেলেছি। এই ৬বারের মধ্যে শুধু ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের নকআউটে ভারতীয় দল কোয়ালিফাই করতে পারেনি। এবং ৬টি বিশ্বকাপের মধ্যে ৫বার আমরা শেষ চারে গিয়েছি। সেখানে পাকিস্তান গত ৬বারের মধ্যে মাত্র একবার সেমিফাইনালে গিয়েছিল। ২০১১ সালে সেই ঘটনা ঘটে। এর পরেও অদ্ভুতভাবে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা আইসিসি ও বিসিসিআই-কে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে। বল চেঞ্জ ও পিচ নিয়ে আমাদের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে।’
[আরও পড়ুন: ট্রোলিংয়ের বর্ষণ চলছেই! ফের পাকিস্তানকে বিঁধলেন নজফগড়ের নবাব বীরু]
টুইট করতে গিয়ে সেই পোস্টে দুই ছবিও দিয়েছেন শেহওয়াগ। সেখানে ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ভারতীয় দল বিদায় নেওয়ার পর কীভাবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের তরফ থেকে কটাক্ষ করা হয়েছিল, সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে। বীরু ফের লিখেছেন, ‘ইংল্যান্ডের কাছে ফাইনাল হেরে যাওয়ার পরেও ওদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশকে ট্রোল করেছিল। ভারতে পা রাখার পর আমাদের দেশের সেনাকেই অপমান করেছিলেন বাবররা!’
শেহওয়াগ আবার লিখেছেন, ‘পিসিবি চেয়ারম্যান ক্যামেরার সামনে আমাদের দুশমন মুল্ক বলছে! আর আশা করছে আমাদের কাছে ভালোবাসার। যে আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে, সে আমাদের কাছ থেকে ভালো ব্যবধার পাবে। কিন্তু কেউ যদি খারাপ ব্যবহার করে তাহলে আমরা সুদে-আসলে মিটিয়ে নেব। মাঠ ও মাঠের বাইরে সব জায়গায়।’
অবশ্য পাকিস্তানকে ট্রোল করার আরও একটা কারণ হল, বাবর আজমের দলের সেমিফাইনাল খেলা দিবাস্বপ্নের মতো। তাই সুযোগ পেয়েই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশকে কটাক্ষ করেই চলেছেন ‘মুলতানের সুলতান’।