সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার বড়সড় বিতর্কে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। আইসিসির (ICC) চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অর্থাৎ সিইও মনু সাহানির কার্যপদ্ধতি নিয়ে উঠে গেল প্রশ্নচিহ্ন। যার জেরে তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হল। তবে, ঠিক কী কী দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, বা সেই দুর্নীতির গভীরতা কতটা, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
২০১৯ সালে ডেভ রিচার্ডসনকে সরিয়ে আইসিসির সিইও পদে নির্বাচিত হন মনু সাহানি (Manu Sawhney)। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই মনু। শশাঙ্কই (Shashank Manohar) তাঁকে আইসিসির ওই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিলেন। তাঁর মেয়াদ শেষ হতে এখনও এক বছর বাকি। তার আগেই মহা বিপাকে পড়লেন আইসিসির সিইও।
[আরও পড়ুন: পন্থের পর অশ্বিন, ফের আইসিসির সেরার পুরস্কার পেলেন এক ভারতীয়]
সূত্রের দাবি, আইসিসির অন্দরে গত এক বছর ধরেই মনু সাহানির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ উঠছিল। কর্মীদের অভিযোগ ছিল, মনু তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। কর্মীদের হেনস্তা করছেন। কর্মীদের উপর নিজের আধিপত্য খাটানোর চেষ্টা করছেন, এবং মালিক সুলভ আচরণ করছেন। তাঁর কাজের ধরনও নাকি আগের সিইওদের (CEO) থেকে অনেকটাই আলাদা। যা কর্মীদের পছন্দ ছিল না। শুধু তাই নয়, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি নিয়মিত আইসিসির দপ্তরেও যাচ্ছিলেন না। আইসিসির দুবাই দপ্তরের ৯০ শতাংশ কর্মীই নাকি মনুর উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এঁরাই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানান। অভিযোগ পেয়ে আইসিসি একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে দিয়ে মনুর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।
[আরও পড়ুন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যস্ত থাকবেন কোহলি-রোহিতরা, এশিয়া কাপে দ্বিতীয় সারির দল পাঠাবে BCCI!]
এই তদন্তের রিপোর্ট আসার আগেই মনুকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। কোনও রকম আর্থিক তছরুপে তিনি যুক্ত কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপরই তাঁর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা হবে।