ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৪৯-৯ (রাদারফোর্ড ৬৮, পুরান ১৭)
নিউজিল্যান্ড: ১৩৬-৯ (ফিলিপ্স ৪০, ফিন অ্যালেন ২৬)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকটি বিশ্বকাপে নিয়মিতভাবে নক-আউট পর্বে খেলেছেন তাঁরা। কিন্তু আমেরিকার মাটিতে বিশ-বিশের বিশ্বকাপটা (ICC T-20 World Cup 2024) যেন অভিশাপের মতো কাটল কিউয়িদের জন্য। দুম্যাচ পরই বিশ্বকাপ থেকে উইলিয়ামসনদের বিদায় কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল। আফগানদের বিরুদ্ধে বড় হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও পরাস্ত হতে হল নিউজিল্যান্ডকে। নক আউটে যেতে হলে এবার কার্যত অসম্ভব অঙ্কের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে নিউজিল্যান্ডকে।
প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কার্যত একপেশেভাবে হারতে হয়েছিল। সেভাবে লড়াইয়েও ছিল না কিউয়িরা। দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অবশ্য খানিকটা লড়াই করলেন রাচীন রবীন্দ্ররা। কিন্তু হারের ব্যবধানটা এদিনও বড়। এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ (West Indies) জিতল ১৩ রানে। এই জয়ের ফলে সুপার এইটে জায়গা পাকা করে ফেললেন ক্যারিবিয়ানরা।
[আরও পড়ুন: কন্যাশ্রীর ধাঁচে ‘নিযুত ময়না’ প্রকল্প হিমন্তের, প্রতি মাসে ছাত্রীদের স্টাইপেন্ড সরকারের]
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কঠিন পিচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। সৌজন্যে সেফরান রাদারফোর্ডের দুর্দান্ত অর্ধশতরান। মাত্র ৩৯ বলে ৬৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। একটা সময় যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩০ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল তাঁদের কার্যত একার হাতে দেড়শোর কাছে পৌঁছে দিলেন রাদারফোর্ড। ওই ১৫০ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ত্রিনিদাদের পিচে শুরু থেকেই চাপে ছিল নিউজিল্যান্ড। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন উইলিয়ামসনরা। একা গ্লেন ফিলিপ্স ৩৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেললেও কাজের কাজ হয়নি। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়ে গিয়েছে ১৩৬ রানে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়তি ২ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী, তবে রাখা যাবে না স্কুলে, নির্দেশ হাই কোর্টের]
এদিনের এই হারের ফলে নিউজিল্যান্ডের সুপার এইটের অঙ্ক আর তাঁদের হাতে রইল না। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচ তাঁদের বড় ব্যবধানে জিততে হবে। সেই সঙ্গে অপেক্ষা করতে হবে আফগানদের হারের। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সুপার এইটে নিশ্চিত।