সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। ব্যাটে বড় রান আসছে না। বল হাতেও বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারছেন না। গুজরাট টাইটান্স থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে অধিনায়ক হিসাবে প্রত্যাবর্তনটাও প্রত্যাশিত মসৃণতার সঙ্গে হয়নি। একগুচ্ছ তারকা থাকা সত্ত্বেও মুম্বই দল নিয়ে বিশেষ সাফল্য পাচ্ছেন না হার্দিক পাণ্ডিয়া। এ হেন কঠিন সময়েও হার্দিক (Hardik Pandya) পাশে পেলেন বিসিসিআইয়ের নির্বাচকদের।
ভারতীয় টি-২০ বিশ্বকাপ দলে তাঁকে রাখা না রাখা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছিল দল ঘোষণার আগে পর্যন্ত। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ বলে দিচ্ছিলেন সাম্প্রতিক ফর্মের বিচার করলে হার্দিককে দলে রাখাই উচিত নয়। কেউ কেউ বলছিলেন, অন্তত সহ-অধিনায়ক পদ থেকে বিতাড়িত করা হোক। কিন্তু দল ঘোষণায় পর দেখা গেল, হার্দিক ১৫ জনের মধ্যে রয়েছেন। শুধু রয়েছেন তাই নয়, স্বমহিমায় সহ-অধিনায়ক হিসাবে রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ৪৩-এ তিলোত্তমা! গরমে সর্বকালীন রেকর্ড কলকাতায়]
এক বছর আগে পর্যন্ত হার্দিক ভারতীয় টি-২০ দলের অধিনায়কত্ব করেছেন। একটা সময় বলাবলি হচ্ছিল, ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপে (T-20 World Cup) হার্দিকের নেতৃত্বেই যাবে ভারতীয় দল। পরিস্থিতি বদলে যায় ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর। ফাইনালে হারলেও রোহিতের নেতৃত্বে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ভারতীয় দল। অন্যদিকে হার্দিক নিজে চোট পেয়ে ছিটকে যান টুর্নামেন্টের মাঝপথে। বিশ্বকাপের আগে যে সিনিয়রদের টি-২০ ফরম্যাটে কার্যত ব্রাত্য হিসাবে ধরে নেওয়া হচ্ছিল, তাঁরাই বিশ্বকাপের পারফরম্যন্সের পর স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন করেন টিম ইন্ডিয়ায়। এদিকে আইপিএলে প্রত্যাবর্তন করলেও হার্দিক বিশ্রী ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, সেকারণেই তাঁর দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচকরা ভরসা রেখেছেন হার্দিকের উপর। মজার কথা হল, মুম্বইয়ে হার্দিকের সতীর্থ রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ভারতীয় দলের অধিনায়ক। তাঁর সঙ্গে হার্দিকের সম্পর্ক নিয়ে বিস্তর লেখালেখিও হয়েছে। কিন্তু তিনিও অল-রাউন্ডারকে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানাননি।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়ার পরই বিক্ষোভের মুখে রেখা পাত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে তাড়া মহিলাদের!]
আসলে হার্দিককে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক ফ্যাক্টর কাজ করেছে। প্রথমত তিনি বিরল প্রতিভার অধিকারী। এই মুহূর্তে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসাবে আর কোনও বিকল্প ভারতের হাতে নেই। তিনি দলে থাকলে বাড়তি পেসার খেলানোর প্রয়োজন পড়ে না। দলের ভারসাম্যের জন্য তাঁরা থাকাটা জরুরি। তাছাড়া খারাপ ফর্মে থাকলেও হার্দিক ম্যাচ ইউনার। বড় ম্যাচে ভালো খেলার অভ্যাসও আছে। সেসব মাথায় রেখেই তাঁকে দলে রেখেছেন নির্বাচকরা। তাছাড়া, জাতীয় দলের জার্সিতে হার্দিক মোটেই খারাপ খেলেননি। তাই তাঁকে সহ-অধিনায়ক পদ থেকে সরানোরও এখনই প্রয়োজন বোধ করেননি আগরকররা। এতে আরও একটা জিনিস বোঝা যায়, রোহিতের পর অধিনায়ক হিসাবে হার্দিককেই দেখছে বিসিসিআই (BCCI)।