আফগানিস্তান: ১৪৮-৬ (গুরবাজ ৪০, জাদরান ৫১)
অস্ট্রেলিয়া: ১২৭ (ম্যাক্সওয়েল ৪৯, নাইব ৪-২০)
আফগানিস্তান ২১ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপে বড়সড় অঘটন। আফগানিস্তানের কাছে হেরে সেমিফাইনালের লড়াই কঠিন করে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। কিংসটাউনে টানটান ম্যাচে অজিদের বিরুদ্ধে ২১ রানে জিতলেন রশিদ খানরা। আর এই জয় দিয়েই সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে চলে এলেন আফগানরা। যদিও চলতি বিশ্বকাপে রশিদ খান-গুরবাজরা যেভাবে পারফর্ম করেছেন, তাতে এদিনের জয়কে অনেকেই অঘটন বলতে রাজি নন।
কিংসটাউনে টস জিতে এদিন প্রথমে আফগানিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান অজি অধিনায়ক মার্শ। প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান ২০ ওভারে করে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান। দুই ওপেনার গুরবাজ এবং জাদরান প্রথম উইকেটের জুটিতেই তুলে দেন ১১৮ রান। গুরবাজ ৪৯ বলে ৬০ এবং জাদরান ৪৮ বলে ৫১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। কিন্তু এর পর অজিদের হয়ে খেলা ঘোরান প্যাট কামিন্স। অনবদ্য হ্যাটট্রিক নিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান প্রাক্তন টি-২০ অধিনায়ক। পর পর তিন বলে রশিদ খান, করিম জানাত এবং গুলবদিন নাইবকে আউট করেন তিনি। প্রথম বোলার হিসাবে বিশ্বকাপে পর পর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার অনবদ্য রেকর্ড গড়লেন অজি অধিনায়ক। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৮ রানেই আটকে গেল আফগানরা। টপ অর্ডারের রানের গতি ধরে রাখা গেলে আরও বড় টার্গেট দেওয়া যেত অজিদের।
[আরও পড়ুন: হার্দিকের দাপট ও কুলদীপের স্পিনে কুপোকাত বাংলার বাঘ! সেমি কার্যত নিশ্চিত রোহিতদের]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে একেবারে গোড়া থেকেই চাপে পড়ে যায় অজিরা। প্রথম ওভারে শূন্য করে ফেলেন ট্রাভিস হেড। মাত্র ৩২ রানে পড়ে যায় তাঁদের ৩ উইকেট। এর পর খানিকটা লড়াই করেন ম্যাক্সওয়েল। ৪১ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। কিন্তু আর কোনও অজি ব্যাটারই সেভাবে প্রতিরোধ করতে পারেননি। যার ফলে অজিদের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১২৭ রানে। আফগানরা জেতে ২১ রানে।
[আরও পড়ুন: NEET বিতর্কের মাঝেই কড়া পদক্ষেপ, NTA-এর ডিজিকে সরাল শিক্ষামন্ত্রক]
এই জয়ের ফলে বিশ্বকাপের সেমির দৌড়ে প্রত্যাবর্তন হল আফগানদের। নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারালেই শেষ চারে চলে যেতে পারেন রশিদরা। অন্যদিকে সোমবার ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ অজিদের জন্য মরণ-বাঁচন ম্যাচে পরিণত হল। সেমিফাইনালে যেতে হলে রোহিতদের বিরুদ্ধেও বড় ব্যবধানে জিততে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। এদিন আফগানরা জেতায় ভারতও শেষ চারে নিশ্চিত হতে পারছে না। শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে হারা চলবে না টিম ইন্ডিয়ারও। যদিও দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জেতায় অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তানের তুলনায় কিছুটা স্বস্তির জায়গায় টিম ইন্ডিয়া।