সুমন্ত চট্টোপাধ্যায়: দেশের মাটিতে ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ শুরু হয়েছে হপ্তা তিনেক আগেই। কিন্তু শহর কলকাতা এতদিন মেতে ছিল আগমনির সুরে। সে অর্থে দেখতে গেলে এ শহরে বিশ্বকাপের বোধন হল লক্ষ্মীপুজোর দিন। আর বোধনের দিন বাজিমাত না করলেও শুরুটা নেহাত মন্দ করল না ইডেন গার্ডেন্স। বলা ভালো, শনিবাসরীয় ইডেনে কলকাতার ক্রীড়ামোদীরা মোটামুটি মার্কস পেয়ে পাশ করে গেলেন।
বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডস। দুই দলের কেউই বিশ্বকাপ জয়ের ফেভরিট নয়। বাংলাদেশকে নিয়ে কলকাতার দর্শকদের আগ্রহ আছে বটে, তবে এবারের বিশ্বকাপে ওপার বাংলার টাইগাররা আহামরি কিছু করেননি। তাই শনিবার ইডেনে দর্শক সংখ্যা কেমন হবে, সেটা নিয়ে সিএবি কর্তাদের মধ্যে টেনশনের একটা চোরাস্রোত ছিল শুক্রবার রাত পর্যন্তও। বস্তুত শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত ইডেন ছিল ভাঙা হাঁটের মতো। লোকজনের ভিড় নেই। টিকিটের চাহিদা নেই। শাকিবদের অনুশীলন নিয়ে আগ্রহ নেই। মনেই হচ্ছিল না মাত্র ১২ ঘণ্টা বাদেই বিশ্বকাপের ম্যাচ হতে চলেছে ক্রিকেটের নন্দন কাননে।
[আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ, লুঠ, ডাকাতিতে মুসলিমরাই এক নম্বর’, সংখ্যালঘু নেতার মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক]
কিন্তু শনিবার ছবিটা কিছুটা হলেও পালটে গেল। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দর্শকসংখ্যা নেহাত কম হল না। বলা ভালো যেটুকু প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেকটাই বেশি দর্শক সমাগম হয়েছে। বিকেল চারটের ছবি বলছে, ক্লাব হাউসের দুটি টিয়ার মোটামুটি ভর্তি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় স্ট্যান্ড, জগমোহন ডালমিয়া স্ট্যান্ডও মোটামুটি ভর্তি। স্টেডিয়ামের বাকি অংশেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু দর্শক আছেন। ছুটির সন্ধের দর্শক সংখ্যা আরও খানিকটা বাড়তে পারে। নিদেনপক্ষে ১২-১৫ হাজার দর্শক হবেই।
মোটামুটি ভাবে অধিকাংশ দর্শকই বাংলাদেশের সমর্থক। ওপার বাংলা থেকে বহু দর্শক এসেছেন। বাংলাদেশ বোর্ডের কর্তারা এসেছেন। আশরাফুল, হাবিবুর বাশারদের মতো প্রাক্তনীরাও এসেছেন। তবে এসবের মধ্যে ওলন্দাজ সমর্থক যে একেবারে নেই, তেমনটাও নয়।