সুমন্ত চট্টোপাধ্যায়: লান্স ক্লুজনারের সেই ‘অগস্ত্য যাত্রা’র কথা মনে আছে? ২৪ বছর আগে এজবাস্টনে বিশ্বকাপ (ICC World Cup 2023) সেমিফাইনালে জয়সূচক রান নিতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) একাদশতম প্লেয়ার অ্যালান ডোনাল্ড। ক্রিকেট ইতিহাসে সে এক ট্র্যাজিক মুহূর্ত। নির্মম পরিণতি বুঝতে পেরে আর পিছন ফিরে তাকাননি ক্লুজনার। পরাভূতের বিষাদঘন যন্ত্রণা নিয়ে সেই যে দৌড় শুরু করেছিলেন, তা গায়ে মেখেই বিলীনমান হয়ে গিয়েছিলেন সাজঘরে।
দু’যুগ আগে প্রোটিয়াদের স্বপ্নকে চুরমার করে দেওয়া দলটার কথা মনে আছে? অস্ট্রেলিয়া (Australia)! ভুল বলা হল। বলা উচিত ‘মাইটি অস্ট্রেলিয়া’। ’৯৯-এ শুধু নয়, ২০০৭-এর বিশ্বকাপেও সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘নেমেসিস’ হয়ে দেখা দিয়েছিল ব্যাগি গ্রিন বাহিনী। এবার? বৃহস্পতিবার ইডেনে তেমনই কি কোনও দৃশ্যের অবতারণা ঘটবে? নাকি ‘চোকার্স’ অভিশাপ ঘুচিয়ে নতুন ইতিহাস লিখবে দক্ষিণ আফ্রিকা? সে উত্তর কালের গর্ভে।
[আরও পড়ুন: বিরাট-শামির মহা-ভারত! হাজার কণ্ঠের বন্দে মাতরমে কাঁপল ওয়াংখেড়ে]
তবে ‘রোড টু ফাইনালে’র প্রহর গুনছে ক্রিকেটের ‘ভূস্বর্গ’। টেম্বা বাভুমা তিনি কি ভাবছেন? বিশ্বকাপের অতীত বলছে, কখনও সেমিফাইনালের ‘গাঁট’ ছাড়াতে পারেনি প্রোটিয়ারা। আবির্ভাবের ’৯২-এ নয়, ’৯৯ কিংবা ’০৭-এ নয়, এমনকী আট বছর আগে, মানে ২০১৫-তে প্রবল সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেননি এবি ডে’ভিলিয়ার্সরা। বৃহস্পতিবার প্যাট কামিন্সদের বিরুদ্ধে সেই চেনা ব্যর্থতা বদলে ফেলার সুযোগ বাভুমাদের।
বিশ্বকাপের লিগ-পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে বিরাট ব্যবধানে হারালেও সেই দল আর সেমিফাইনালের অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে যে আকাশপাতাল তফাত, সেটাই ভালোই জানেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। সাংবাদিক সম্মেলনেও বাভুমা বলে গেলেন, “সবাই ভালো করেই জানে, আমরা মিকি মাউস টিমের বিরুদ্ধে খেলতে নামছি না। নকআউট স্টেজে অস্ট্রেলিয়া সবসময় ভয়ঙ্কর। ওদের অভিজ্ঞতা, আত্মবিশ্বাসী মনোভাবকে গুরুত্ব দিতেই হবে।” পাশাপাশি জানাতে ভুললেন না, এবার সেমিফাইনাল ভিন্ন মঞ্চ। সেখানে জয়ের স্বপ্ন নিয়েই ঝাঁপাবে দক্ষিণ আফ্রিকা।