সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাইবার জালিয়াতিতে গ্রাহকের ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া যাওয়া অর্থের ক্ষতিপূরণ দিতে ব্যাঙ্ক দায়বদ্ধ। ব্যাঙ্ক যদি এই ব্যাপারে দ্রুত সতর্কতা অবলম্বন না করে তা হলে সেটা ‘গুরুতর অসাবধানতা’ বলেই ধরে নেওয়া হবে।
ইউপিআই (UPI) সাইবার জালিয়াতি শিকার এক গ্রাহককে ৩৯ হাজার ৫৭৮ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিতে গিয়ে এই পর্যবেক্ষণ করেছে নভসারি কনজিউমার ডিসপিউটস রিড্রেসাল কমিশন (CDRC)। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ওই গ্রাহক ঘটনার দিনই ব্যক্তিগতভাবে ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়েছিলেন। কমিশনের পর্যবেক্ষণ, ব্যাঙ্ক আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে পারত, কারণ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে ফেলা টাকা কোথায় গিয়েছে তা জানার জন্য সমস্ত প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা রয়েছে।
[আরও পডু়ন: দেশের জন্য সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা খাটুক তরুণ প্রজন্ম, নারায়ণমূর্তির পরামর্শে বিতর্ক]
এ ক্ষেত্রে, নভসারির বাসিন্দা বিধি সুহাগিয়া, যার এসবিআইয়ের ফুভারা শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সাইবার জালিয়াতিতে ৫৯ হাজার ০৭৮ টাকা হারিয়েছেন। ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর তাঁর অজান্তেই ওই টাকা ডেবিট হয়েছিল। বিষয়টি তাঁর গোচরে আসতেই তিনি অবিলম্বে ব্যাঙ্কের শাখায় চলে যান এবং প্রতারণা সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন। সাইবার ক্রাইম হেল্পলাইনে অভিযোগ দায়ের করার পর, পুলিশ ফেডারেল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করা ১৯,৫০০ টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। আদালতের নির্দেশে পুলিশ তার অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরতও দেয়। যেহেতু ব্যাঙ্কটি অবশিষ্ট ৩৯,৫৭৮ টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ফেরতে টালবাহানা করছিল, তাই তিনি ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর স্টেট ব্যাঙ্ককে একটি আইনি নোটিশ পাঠান। ব্যাঙ্ক তার কোনও জবাব না দেওয়ায়, ওই গ্রাহক কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
[আরও পডু়ন: রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক]
গ্রাহকের আইনজীবী জানান, ওই টাকা ইউপিআই-এর মাধ্যমে ডেবিট করা হয়েছিল এবং কাউকে ওটিপি বা পাসওয়ার্ড শেয়ার না করেই। গ্রাহক নিজের অসতর্কতার কারণে প্রতারিত হয়েছেন বলে যুক্তি দিয়ে, ব্যাঙ্কের আইনজীবী দাবি করেছিলেন। কমিশনের পর্যবেক্ষণ, যে অভিযোগকারী সেদিনই ব্যাঙ্ককে বিষয়টি জানিয়েছিলেন কিন্তু রেকর্ডে এমন কোনও প্রমাণ নেই যে ব্যাঙ্ক অভিযোগের উপর কাজ করেছে।