সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৭ দিনে পা রেখেছে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী বনাম ইজরায়েলের রক্তক্ষয়ী লড়াই। ইহুদি দেশটিতে আক্রমণ শানাতে প্যালেস্টাইনের এই সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠীর দোসর হয়েছে লেবাননের শিয়া জঙ্গি সংগঠন হেজবোল্লা। ইজরায়েলের তরফে যুদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকেই লেবানন সীমান্ত থেকে হামলা চালাচ্ছে ইরানের মদতপুষ্ট হেজবোল্লা দল। এবার তাদের সংঘাতে না জড়ানোর কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। সাফ জানালেন, “হেজবোল্লা যদি লড়াইয়ে নামে তাহলে দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধের জন্ম হবে। যার ফল ভয়ংকর হবে।”
প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের (Hamas) সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকে গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। গাজা সীমান্ত থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেনা ঘাঁটি ঘুরে দেখছেন। নিয়মিত আলোচনা করছেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে। রবিবার তিনি দেখা করেন উত্তর ইজরায়েলের আইডিএফের (ইজরায়েলে ডিফেন্স ফোর্স) (IDF) কমান্ড ব্রিগেডের সঙ্গে। এই মুহুর্তে ইজরায়েলি ফৌজকে উত্তরে লড়াই করতে হচ্ছে লেবাননের জঙ্গি সংগঠন হেজবোল্লা ও দক্ষিণে হামাসের সঙ্গে। যা নিয়ে সেনার সঙ্গে আলোচনা করার পর নেতানিয়াহু কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি হেজবোল্লা এই যুদ্ধে শামিল হয় তাহলে দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধের জন্ম হবে। ফলে এটা তাদের সবচেয়ে বড় ভুল হবে।”
[আরও পড়ুন: ইজরায়েল যুদ্ধ-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা, ভারতে আসছেন মার্কিন বিদেশসচিব, প্রতিরক্ষা সচিব]
ইজরায়েলের (Israel) সেনার উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহু আরও বলেন, “গোটা পরিস্থিতি নিয়ে আমি যা শুনছি ও আপনারা এখানে যেভাবে কাজ করছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা হেজবোল্লার সদস্যদের খতম করছেন যারা আমাদের ফ্রন্টলাইনে আক্রমণ করছে। এই মুহূর্তে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না হেজবোল্লা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেবে কি না। কিন্তু তারা যদি এইরকম কোনও পরিকল্পনা করে থাকে তাহলে তার মূল্য চোকাতে হবে। আমরা সমস্ত শক্তি দিয়ে হেজবোল্লা সংগঠনকে আক্রমণ করব। যার ফলাফল তারা কল্পনাও করতে পারবে না। আর এই আক্রমণ শুধু তাদের জন্য নয় লেবাননের জন্যও ধ্বংসাত্মক হবে।”
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়লের বুকে বেনজির হামলায় চালায় প্যালেস্তিনীয় (Palestine) জঙ্গি সংগঠন হামাস। রয়টার্স সূত্রে খবর, সুন্নি এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে মদত দিচ্ছে লেবাননের হেজবোল্লা। ইহুদি দেশটির তরফে যুদ্ধ ঘোষণার পর ৯ অক্টোবর থেকে ইজরায়েলি ফৌজের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট এই শিয়া মৌলবাদী দলটির। ওইদিনই আইডিএফ-এর পালটা মারে নিহত হয় তিন হেজবোল্লা যোদ্ধা। ফলে, গাজা সীমান্তের পাশাপাশি উত্তপ্ত হয়ে আছে লেবানন সীমান্তও। বলে রাখা ভালো, লেবাননের অন্যতম বৃহৎ এবং শক্তিশালী হেজবোল্লা বাহিনীতে রয়েছে লক্ষাধিক যোদ্ধা।