সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T- 20 World Cup) ফাইনালে হারের ক্ষতে এখনও প্রলেপ পড়েনি শাহিন আফ্রিদির (Shaheen Afridi)। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে মোক্ষম সময়ে হাঁটুর চোটের জন্য মাঠ ছাড়তে হয়েছিল পাকিস্তানের (Pakistan) বাঁ হাতি পেসারকে। আর তিনি বল করতে না পারার মাশুল গুনতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। ফাইনালে হার মানতে হয় ইংল্যান্ডের কাছে। সেই হার হয়তো দুঃস্বপ্নে তাড়া করে বেড়ায় আফ্রিদিকে। তাই তো তিনি বলছেন, শেষের দিকে চোটের জন্য মাঠ ছাড়তে না হলে পাকিস্তানই হয়তো বিশ্বকাপ জিতত।
ফাইনালে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ধরতে গিয়ে হাঁটুতে চোট পান আফ্রিদি। চোট পাওয়ায় মাঠের বাইরে অল্প সময়ের জন্য বেরিয়ে যেতে হয়েছিল বাঁ হাতি পেসারকে। তার পরে আবার নিজের তৃতীয় ওভার করার জন্য মাঠে ফেরেন আফ্রিদি। সেই ওভারে একটি বল করার পরে আফ্রিদি মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। চোটের জন্য আর মাঠে দাঁড়াতে পারেননি তিনি।
[আরও পড়ুন: সৌরভের বাড়িতে দুই প্রযোজক! কবে শুরু বায়োপিকের শুটিং? ‘দাদা’র ভূমিকায় কে?]
ওই ২.১ ওভারে আফ্রিদি অ্যালেক্স হেলসের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। মাত্র ১৩ রান দেন বাঁ হাতি পাক পেসার। আফ্রিদি আর বল করতে না পারায় ইংল্যান্ড সহজেই ম্যাচ জিতে নেয়। আফ্রিদি বলছেন, ”প্রতিটি ক্রিকেটারেরই দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন থাকে। ফাইনালে আমার যদি চোট না লাগত, তাহলে হয়তো বিশ্বকাপ আমরাই জিততাম।”
হাঁটুর চোট সারিয়ে এখন ক্রিকেটে ফিরেছেন আফ্রিদি। অনেকেই বলছেন, চোট যাতে তাঁর কেরিয়ারে লাল চোখ দেখাতে না পারে, তার জন্য বলের গতি কমানো দরকার। আফ্রিদি কিন্তু মাঠে ফিরে স্বমেজাজে। সম্প্রতি পিএসএলে ১৯টি উইকেট নেন আফ্রিদি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে-তে আটটি উইকেটের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে ছ’টি উইকেট নেন তিনি। আফ্রিদি বলছেন, ”গতি নিয়ে একেকজনের মধ্যে একেকরকম ধারণা আছে। ঘণ্টায় ১১০ কিমি বেগে বল করে যদি উইকেট আসে, তাহলে আমার ভালই লাগবে। আমি মাঠের ভিতরে একশো শতাংশ দিয়ে থাকি। সেটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।”