সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে চোখ রাঙাচ্ছে চিন (China)। দেশের পশ্চিম সীমান্তে থাবা বসাতে তৈরি পাকিস্তান। এহেন পরিস্থিতিতে ভারত চাইলেই আরও রাফালে যুদ্ধবিমান দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ফ্রান্স।
[আরও পড়ুন: ভারত-ফ্রান্স যৌথ সামরিক মহড়ায় শক্তিপ্রদর্শন করবে অত্যাধুনিক রাফালে যুদ্ধবিমান]
শুক্রবার রাজধানী দিল্লিতে ভারতের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক মজবুত করার বার্তা দেন ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লে। তিনি বলেন, “বন্ধু হিসেবে ভারতের প্রয়োজন ও আবেদন মতো সামগ্রী জোগান দিতে আমরা তৈরি। আমরা জানি যে দ্রুত ভারতের হাতে একটি যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী আসতে চলেছে। তাই সেখানে যুদ্ধবিমানের প্রয়োজন হবে। ভারত চাইলে আমরা আরও রাফালে বিমান জোগান দিতে তৈরি।” বলে রাখা ভাল, দ্রুত দ্বিতীয় এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার পেতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ নামের ওই রণতরীর জন্য অন্তত ৫৭টি যুদ্ধববিমানের প্রয়োজন রয়েছে। সেই কথাই এদিন তুলে ধরলেন ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এদিকে, চিনের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পার্লে। দক্ষিণ চিন সাগরে লালফৌজের আগ্রাসন নিয়ে কড়া বার্তা দেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে, চিনের বিরুদ্ধে কৌশলগত জোট তৈরি করতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ফ্রান্স। উল্লেখ্য, বার্ষিক প্রতিরক্ষা সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসেছেন ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
২০১৬ সালে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যেখানে ৩৬টি রাফালে যুদ্ধবিমান কেনার বিষয় ঠিক হয়। প্রায় দু’দশক পর নতুন কোনও অত্যাধুনিক বিদেশি যুদ্ধবিমান হাতে পেয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ১৯৯৭ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় এসেছিল রাশিয়ার তৈরি সুখোই যুদ্ধবিমান (Sukhoi Su-30MKI)। যুদ্ধে রাফালে বিমানকে গেম চেঞ্জার বলে মনে করছে বায়ুসেনা। ইতিমধ্যেই লাদাখের প্রতিকুল আবহাওয়ায় মহড়া দিয়েছে এই বিমান। বিমানটি দশ টন মাল বহন করতে সক্ষম। মাটি থেকে সমুদ্র বা আকাশের কোনও লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানার ক্ষেত্রে এই বিমানের জুড়ি মেলা ভার। চতুর্থ প্রজন্মের ‘মিডিয়াম মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট’ রাফালে রয়েছে ‘ম্যাটিওর’ বিয়ন্ড ভিস্যুয়াল রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘স্কাল্প’ এবং ‘হ্যামার’ (হাইলি অ্যাজাইল অ্যান্ড ম্যানুভারেবল মিউনিশন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ) ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশে উড়তে উড়তেই জ্বালানি ভরে নিতেও দক্ষ রাফালে।