কৃষ্ণকুমার দাস: ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারেন বলেই চিকিৎসা পরিষেবায় জরুরি এবং প্রয়োজনীয় হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Swasthya Sathi card) নতুন আবেদন নেওয়া আপাতত বন্ধ। তবে ৪ মে-র পর থেকে ফের স্বাস্থ্যসাথীর নতুন ফর্ম বিতরণ করতে পারবে কলকাতা পুরসভা। যদি কেউ এর মধ্যে কার্ড হারিয়ে ফেলেন বা নষ্ট হয়ে যায়, তবে মাত্র ২৫ টাকা খরচে বরো অফিস থেকে ‘ডুপ্লিকেট’ কার্ড পেয়ে যাবেন।
পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য বিদায়ী মেয়র পারিষদ ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার পুরভবনে জানিয়েছেন, “কার্ড হারানোর তথ্য জানিয়ে পুলিশে ডায়েরি করার রসিদ ও ২৫ টাকা জমা দিয়ে বরো অফিসে আবেদন করতে হবে।” নির্বাচন বিধি চালু হওয়ার পর কলকাতা পুরসভার তরফে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শিবির করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বিতরণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বস্তুত এই কারণে পুরসভার ১৬টি বরো অফিস থেকে আবেদন হওয়ার পর ছবি তুলে কার্ড বিতরণ শুরু করেছেন কলকাতা পুরসভার অফিসাররা। পুরসভার দৈনন্দিন নাগরিক পরিষেবার মতোই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বরো অফিসের অফিসাররা তৈরি করে দেবেন।
[আরও পডুন: টুর প্যাকেজের ‘কুপন’ দিয়ে জালিয়াতি! কলকাতায় জাল ছড়াচ্ছে নয়া প্রতারণা চক্র]
প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য ইন্দ্রাণী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে যাঁদের ফর্মপূরণ হয়েছে, নাম সরকারি তালিকায় নথিভুক্ত হয়েছে, তাঁরা সবাই বরো অফিস থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পেয়ে যাবেন। স্বাস্থ্যসাথীর ফর্ম জমা দেওয়ার পর নথিভুক্তি হয়েছে জানিয়ে যাঁদের মোবাইল ফোনে মেসেজ গিয়েছে তাঁদের বরো অফিসে এসেই ছবি তোলার কাজ শুরু হয়েছে। অবশ্য ৪ মে থেকে নতুন করে স্বাস্থ্যসাথীর আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে ফের সরকারে ফেরার আত্মবিশ্বাস ঘোষণা করলেন পুরসভার তৃণমূল (TMC) প্রশাসকমণ্ডলী।
রাজ্যে অভূতপূর্ব সাড়া ফেলেছে এই প্রকল্প। ইতিমধ্যে দেড় হাজারের উপরে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে এই প্রকল্পের সুবিধা মিলছে। এদিকে গত মাসেই বিভিন্ন প্যাকেজের বরাদ্দ রেট বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিল একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম। সেই দাবি কার্যত মেনে নিয়ে প্রায় ৬০ শতাংশ প্যাকেজের রেট ১০-১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।