স্টাফ রিপোর্টার: করোনা মোকাবিলায় মহানগরের সমস্ত মাছবাজার ও রেশন দোকানে ‘সামাজিক দূরত্ব’ কড়াকড়ি করতে আজ থেকে পথে নামছে পুলিশ ও পুরসভা। যদি কোনও মাছবাজারে ক্রেতাদের ভিড় কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তবে মার্কেটের সেই অংশ বন্ধ করে দেওয়া হবে। শহরকে করোনা সংক্রমণের রেড জোন থেকে গ্রিন জোনে পৌঁছে দিতে টার্গেট নিয়ে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক শেষে সোমবার একথা জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
হাতিবাগান, মানিকতলা, গড়িয়াহাট থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি মার্কেটে মাছবাজারের ভিড় কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে এদিন টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে রিপোর্ট জমা পড়ে। অভিযোগ, দূরত্ব মেনে মাস্ক পরে বাজারে এলেও ঘেঁষাঘেষি করে সবাই কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গেও নবান্নে গিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন মেয়র। COVID-19 ভাইরাস রুখতে ওয়ার্ডভিত্তিক মাইক্রোপ্ল্যানিংয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ওই বৈঠকে কথা হয়।
[ আরও পড়ুন: ‘করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের সাহায্য করুন’, মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ রাজ্যপালের ]
বেলগাছিয়া বসতিতে এদিন থেকে র্যাপিড টেস্ট শুরু হয়েছে। প্রথমদিনই ২৫ জনের ওই পরীক্ষা হয়। রাজাবাজার, নারকেলডাঙা মেন ও নর্থ রোড, পঞ্চসায়রের শহিদ নগর ঘিঞ্জি বস্তি থেকে শুরু করে তপসিয়া, শ্যামপুকুরের মতো এলাকায় শীঘ্রই র্যাপিড টেস্ট হবে। ১৪ দিনের মধ্যে রেড জোনে থাকা কলকাতাকে গ্রিন জোনে নিয়ে যেতে পুলিশ, রেশন অফিসার ও পুরসভার স্বাস্থ্যকর্তাদের নিয়ে তিনটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। মেয়র জানান, প্রথম টাস্ক ফোর্স বাজারে ঘুরবে। বিশেষ করে মাছবাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। অধিকাংশ মার্কেটে সবজি বা অন্য কেনাকাটায় ভিড় সামলানো গেলেও মাছবাজারে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে সবাই কেনাকাটা করছেন। এটা বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয় টাস্ক ফোর্স রেশন দোকানে নজর রাখবে। যদি কোনও ডিলারের মাল মজুতে সমস্যা হয় তবে তা পুরসভাই নিয়ন্ত্রণ করবে। তৃতীয় টাস্ক ফোর্স, মাইক্রোপ্ল্যানিং মেনে পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের কাজে সমন্বয় করবে।
প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেপুটি ম্যানেজার, স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে নজরদারি চালানো রিপোর্ট নিয়ে নিয়মিত পর্যালোচনা হবে। বরো হেলথ অফিসার এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজাররা প্রতিটি ওয়ার্ডের মাইক্রোপ্ল্যানিং ধরে কাজ করবেন। সাধারণ অসুখেও বাড়ি বাড়ি ওষুধ পৌছে যাবে। করোনা নিয়ে র্যাপিড টেস্টেও সাহায্য করবেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। টাস্ক ফোর্সের এদিনের বৈঠকে ছিলেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ছাড়াও ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, রতন দে, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়।
[ আরও পড়ুন: করোনা দুর্যোগের মধ্যেও নিখরচায় হার্ট প্রতিস্থাপন কলকাতায় ]
The post ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে বন্ধ হবে মাছের বাজার, কলকাতাকে গ্রিন জোনে আনতে তৎপর পুরসভা appeared first on Sangbad Pratidin.