স্টাফ রিপোর্টার: নথি যাচাই প্রক্রিয়ায় কোনও শিক্ষার্থী সশরীরে উপস্থিত না থাকলে তাঁর ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে। স্নাতক স্তরের প্রথম দফার ভর্তির শেষ স্তরে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্যের কলেজে স্নাতক স্তরে প্রথম দফার ভর্তি শেষ হয়েছে। ৪ লক্ষেরও বেশি পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন। এবার শুরু হবে নথি যাচাই প্রক্রিয়া।
উচ্চশিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কলেজে এসে নথি যাচাইয়ে অংশগ্রহণ করেননি এমন পড়ুয়াদের ভর্তি কলেজের তরফে বাতিল করা হবে। তবে, ভর্তির জন্য জমা দেওয়া ফি নিয়ে পড়ুয়াদের চিন্তার কোনও কারণ থাকবে না। কারণ ভর্তি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গেই তা প্রমাণের নথি অর্থাৎ 'ক্যানসেলেশন সার্টিফিকেট' পৌঁছে যাবে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার কাছে।
[আরও পড়ুন: একবালপুরে অতিথিশালার ছাদে সন্দেহজনক ব্যাগ, খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের!]
দ্বিতীয় দফার ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে ফি ফেরত পাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে, সেই সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে জমা দেওয়া ফি ফিরে পেতে সাহায্য করবে। আজ, ৩১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক নথি যাচাই প্রক্রিয়া। যা চলবে ৬ আগস্ট পর্যন্ত।
উচ্চশিক্ষা দপ্তরের (Higher education department) তরফে ফি জমা করা চার লক্ষেরও বেশি পড়ুয়ার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তা থেকে জানা গিয়েছে, আসন পাওয়া পড়ুয়াদের মধ্যে সম্ভবত ৩- ৪ শতাংশ পড়ুয়া নথি যাচাইয়ে অংশগ্রহণ করবেন না। কেন্দ্রীয় পোর্টালের আওতার বাইরে থাকা অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়াই এর প্রধান কারণ।
একটি কলেজে যতজন পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের তথ্য সংশ্লিষ্ট কলেজের কলেজের অধ্যক্ষদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদেরকেও বলা হয়েছে সক্রিয়ভাবে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। নথি যাচাইয়ের সূচি কী এবং কোন কোন নথি নিয়ে পড়ুয়াকে আসতে হবে, তা কলেজগুলির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এর পরেও যাঁরা নথি যাচাইয়ে অংশগ্রহণ করবেন না, তাঁদের ভর্তি কলেজের তরফে বাতিল হবে বলে জানিয়েছে দপ্তর।