সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশদিনের মধ্যে ফেডারেশনের থেকে ক্ষতিপূরণ না পেলে সরাসরি ফিফা ট্রাইবুনালে মামলা করার হুমকি দিলেন প্রাক্তন জাতীয় কোচ ইগর স্টিমাচ (Igor Stimac)। শুধু তাই নয়, ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবের (Kalyan Chaubey) বিরুদ্ধে একাধিকবার চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন তিনি।
চব্বিশ ঘন্টা আগেই বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে যেতে না পারায় জাতীয় কোচের পদ থেকে ক্রোয়েশিয়ান কোচকে সরিয়ে দিয়েছিল ফেডারেশন। গত ৫ অক্টোবর স্টিমাচের চুক্তি বাড়িয়ে ২০২৬ পর্যন্ত করা হয়। চুক্তিমতো এই সময়ের আগে তাঁকে সরিয়ে দিলে তাঁকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ফেডারেশনকে। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে স্টিমাচের ক্ষতিপূরণের অঙ্কটা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ছ’কোটি টাকার সমান।
[আরও পড়ুন: পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত কামব্যাক, শেষ মুহূর্তের গোলে জয় পর্তুগালের]
গত দু’বছর ধরে ফেডারেশনের শীর্ষ কর্তাদের কার্যকলাপের জন্য তাঁর শারীরিক অবস্থান অবনতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই প্রাক্তন জাতীয় কোচ। তিনি বলেন, “দশদিনের মধ্যে যদি চুক্তিমতো আর্থিক ক্ষতিপূরণ না দেয় ফেডারেশন, তাহলে এআইএফএফের বিরুদ্ধে আইনি ফিফা ট্রাইবুনালে মামলা করার প্রস্তুতি শুরু করব।” ৫৬ বছর বয়সি এই প্রাক্তন বিশ্বকাপার আরও যোগ করেন, “আমার সঙ্গে কোন কথা না বলেই এই অপসারণ অপেশাদার ও অনৈতিক।”
একাধিক অভিযোগের মধ্যে ফেডারেশন সভাপতির বিরুদ্ধে আরও দুটি মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন স্টিমাচ, এশিয়ান গেমসে তাঁর বাছাই করে দেওয়া দলে তিনজন সিনিয়র ফুটবলার অন্তর্ভুক্ত করেন সভাপতি। দ্বিতীয়ত, আইএসএল ক্লাবগুলো এশিয়ান গেমসের জন্য তাদের কোন কোন ফুটবলারদের দেশের হয়ে খেলার জন্য ছাড়বে সেই সিদ্ধান্ত ক্লাবগুলোকে নিতে দিয়েছেন সভাপতি। ক্ষুব্ধ স্টিমাচ জানিয়েছেন, “সভাপতি এবং স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার কর্তারা মিলে এশিয়ান গেমসের আগে আমার দেওয়া দলে তিনজন সিনিয়র ফুটবলার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এছাড়াও আইএসএল ক্লাবগুলোকে তাদের পছন্দ মতো ফুটবলার জাতীয় দলের ছড়ার সিদ্ধান্ত নিতে দিয়েছিলেন।”
এশিয়ান কাপের ব্যর্থতার পর স্টিমাচ চেয়েছিলেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে কথা বলতে। তিনি এদিন অভিযোগ এনে বলেছেন, তাঁর সেই সাংবাদিক সম্মেলনও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এশিয়ান কাপের এই পর্বে ভারত সবক’টি ম্যাচ হেরেছে। শুধু তাই নয় একটি গোলও করতে পারে নি। এই ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন স্টিমাচ। এদিন আরও বলেন, “এআইএফএফের কাছ থেকে আর কোন কথা শুনতে চাই না। এর জন্য আমার আইনি পরামর্শদাতাকে ওদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বলেছি। কারণ, আমার শারীরিক অসুস্থতা বাড়ার অন্যতম কারণ এআইএফএফ।”