সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তোষাখানা মামলায় বড়সড় স্বস্তি পেলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার তাঁর শাস্তির উপর স্থগিতাদেশ দিল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে জামিনে মুক্তি দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
গত ৫ আগস্ট তোষাখানা মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে তিন বছরের সাজা শুনিয়েছিল নিম্ন আদালত। এর পাশাপাশি ১ লক্ষ টাকার জরিমানাও করা হয়েছিল তাঁকে। বলা হয়েছিল, অনাদায়ে আরও ৬ মাস জেলে থাকতে হবে তাঁকে এবং পাঁচ বছর কোনও নির্বাচন লড়তে পারবেন না তিনি। প্রসঙ্গত, পিটিআই প্রধান ইমরানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। যার মধ্যে তোষাখানা মামলা অন্যতম। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি পদের অপব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া উপহার সামগ্রী সরকারি ভাণ্ডার বা তোষাখানায় জমা না করে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা যে সমস্ত উপহার দেন, সেগুলি পাক তোষাখানায় জমা হয়।
[আরও পড়ুন: প্রথম মহিলা প্রধান পাচ্ছে ইসলামাবাদের ভারতীয় হাই কমিশন]
এদিন, পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরানের এই সাজাই স্থগিত করল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। পাশাপাশি তাঁকে জামিনে মুক্তির নির্দেশও দেওয়া হল। কী কারণে এই সিদ্ধান্ত, পরবর্তী শুনানিতে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানের পাঞ্জব প্রদেশের অটোক জেলে ঠাঁই হয়েছে প্রাক্তন পাক অধিনায়কের। জেলের কুঠুরিতে দিন কাটাতে হচ্ছিল ‘কাপ্তান’কে। সেলে মাছি ও পোকামাকড়ের উৎপাতের অভিযোগ জানিয়েছিলেন ইমরান। তাঁর কাতর আরতির পর জেল কর্তৃপক্ষ বিশ্বজয়ী অধিনায়কের জন্য এলাহি আয়োজন করে। যা নিয়ে বেজায় খুশি হয়েছিলেন পিটিআই প্রধান।