সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন এক আইআইটি (IIT) পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওই পড়ুয়া পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তারপরেই সমুদ্রে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে মৎস্যজীবীরা ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করেন। বেশ কিছুদিন ধরেই বিশাখাপত্তনম (Vishakhapatnam) হস্টেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই পড়ুয়া। হায়দরাবাদ (Hyderabad) পুলিশে অভিযোগ দায়ের পর অবশেষে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরেই একের পর এক আইআইটি পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন দেশের নানা প্রান্তে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ বছর বয়সি ওই পড়ুয়ার নাম ধনবথ কার্তিক। আইআইটি হায়দরাবাদের ওই পড়ুয়া পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। একই পরীক্ষা দু’বার দিয়েও ব্যর্থ হন। দু’টি বিষয়ে কৃতকার্য না হতে পেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কার্তিক। গত ১৭ জুলাই বিশাখাপত্তনমের হস্টেল থেকে বেরিয়ে পড়েন তিনি। দীর্ঘক্ষণ কার্তিকের খোঁজ না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন হস্টেলের আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: চিনে ‘বিশ্বাস নেই’ ভারতের, ওয়াং ই-কে মুখের উপর জবাব ডোভালের]
আদিবাসী সম্প্রদায়ের পড়ুয়ার খোঁজে তল্লাশি চালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আসে রামকৃষ্ণ বিচের সিসিটিভি ফুটেজ। সমুদ্রের তীরে বিপজ্জনক এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন কার্তিক। ওই এলাকাতেই শেষবার তাঁর ফোনের লোকেশনের সন্ধানও মিলেছিল। তবে ১৯ জুলাইয়ের পর থেকে কার্তিকের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। পরের দিন মৎস্যজীবীরা কার্তিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। পুলিশের অনুমান, ১৯ জুলাই সমুদ্রে ডুবে মৃত্যু হয়েছে কার্তিকের।
চলতি মাসেই কোটা ও দিল্লিতে আত্মঘাতী হয়েছিলেন দুই আইআইটি পড়ুয়া। আগেও বেশ কয়েকবার আইআইটি পড়ুয়াদের আত্মহত্যার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। কেন বারবার চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন দেশের মেধাবী পড়ুয়ারা, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে শিক্ষামহলে।