দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: গ্রিল কারখানার আড়ালে চলছিল অস্ত্র কারবার (Arms Factory)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই অস্ত্র কারখানায় হানা দেয় পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বাড়ির মালিক রাজ কুমার হালদারকে গ্রেপ্তার করেছে জীবনতলা থানার পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার বিবির আবাদ এলাকার ঘটনা। স্থানীয়রা জানতেন এলাকারই বাসিন্দা রাজকুমার হালদারের বাড়িতে একটি গ্রিল কারখানা ছিল। আর সেই গ্রিল কারখানার আড়ালেই চলছিল অস্ত্র কারবার। শুক্রবার সন্ধেয় বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ ও জীবনতলা থানার পুলিশ হানা দেয়।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে আরও শিথিল কোভিডবিধি, দেখে নিন কোন কোন ক্ষেত্রে মিলবে ছাড়]
ওই বাড়িটিতে শুরু হয় তল্লাশি। উদ্ধার হয় ন’টি এক নলা পাইপগান, চারটি নির্মীয়মান বন্দুক, সাতটি ওয়ান শাটার, স্প্রিং আয়রন রড, ড্রিল মেশিন হ্যান্ড ড্রিল, হাতুড়ি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ। ইতিমধ্যে রাজকুমার হালদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেরা করছে জীবনতলা থানার পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। এর পিছনে অন্য কোনও চক্র কাজ করছে কিনা, তা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দিনপাঁচেক আগে আসানসোলের হীরাপুরে মেলে অস্ত্র কারখানার হদিশ। ওই এলাকার একটি বাড়ির নিচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে চলত অস্ত্র কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ওই বাড়িটিতে হানা দেয়। তাতেই বেআইনি অস্ত্র কারবারের পর্দাফাঁস হয়। ওই বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। তার আগে কাটোয়ায় ডেকরেটার্সের ব্যবসার আড়ালে অস্ত্র কারখানা চালানোর ঘটনাও সামনে আসে। কাটোয়া, আসানসোলের পর এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল জীবনতলার। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা।