স্টাফ রিপোর্টার: শেষ হয়েও হচ্ছে না শেষ। হাতে হাতে ঘুরছে বেআইনি প্লাস্টিকের ব্যাগ। পুজোর বিকিকিনি তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। এখনও অসংখ্য হকার ক্রেতাদের জিনিস দিচ্ছেন বেআইনি প্লাস্টিকে ভরে। যা বাড়াচ্ছে চিন্তা।
শহরে নিষিদ্ধ একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক। ১২০ মাইক্রনের নিচের প্লাস্টিক মাটিতে মেশে না। পুকুরে বা জলাশয়ে পড়লে ক্ষতি হয় বাস্তুতন্ত্রের। প্রশ্ন উঠছে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ শহরের কারখানায় তালা ঝোলালেও কেন বন্ধ হচ্ছে না এমন প্লাস্টিকের ব্যবহার? যা নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতার বাসিন্দারাও। মেয়র জানিয়েছেন, নেপাল থেকেই বেআইনি প্লাস্টিক ঢুকছে কলকাতায়।
সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার গীতাঞ্জলি পার্ক এলাকা থেকে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে অভিযোগ করেন দেবাশিস রায়। কালিকাপুরের বাসিন্দার বক্তব্য, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ১২০ মাইক্রনের হতেই হবে। তার পরও ৫০ মাইক্রনের প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে হুড়মুড়িয়ে। এই প্লাস্টিক মাটিতে মেশে না। আগুনে পোড়ানো হলে এর থেকে ডাইঅক্সিন ও ফিউরান গ্যাস গ্যাস তৈরি হয়। যা নিশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
[আরও পড়ুন: পাশে পড়ে কন্ডোম, মহিলার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধারে ক্রমশ জোরাল ধর্ষণ করে খুনের সন্দেহ]
প্রসঙ্গত, বাংলায় বেআইনি প্লাস্টিক তৈরির ৬০টি কারখানা ছিল। কলকাতার মহাবীরতলার কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতায় বেআইনি প্লাস্টিকের কারখানা আর নেই। পুরোটাই আসছে ভিনরাজ্য থেকে। সূত্রের খবর, নেপাল থেকে এই প্লাস্টিক ব্যাগ ঢুকছে শহরে। সোজা চলে যাচ্ছে বাগড়ি মার্কেটে। সেখান থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন শহর-শহরতলির একাধিক দোকানি। বড়বাজার-বাগড়ি মার্কেটে তল্লাশি চালালেই প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মেয়র। পুরসভা সূত্রে খবর, পুজোর পরে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, পুলিশকে নিয়ে যৌথ অভিযানে নামার পরিকল্পনা করেছে পুরসভা। প্লাস্টিক ঠেকাতে সকল বিভাগের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন মেয়র। তাঁর আফসোস, “নড়েচড়ে বসি। কিন্তু সবার সহযোগিতা মিলছে না। সে সুযোগে বেআইনি প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে হুড়মুড়িয়ে। পুজোর কেনাকাটাতেও দেখা যাচ্ছে এমন ব্যাগের ব্যবহার।” মেয়রের আবেদন, স্থানীয় থানাকে নিয়ে প্রচার করুক। পাড়ার ক্লাবগুলিরও পুর বাজারে নিয়মিত নজরদারিতে নতুন নির্দেশিকা জারি হল।