সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গারা (Rohingya)। বেআইনি কাজে জড়িয়ে পড়েছে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়টির অনেকেই। বুধবার রাজ্যসভায় এমনটাই জানাল কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: Afghanistan নিয়ে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই ভারত সফরে মার্কিন বিদেশ সচিব]
এদিন রাজ্যসভায় রোহিঙ্গা ইস্যু উত্থাপন করে বিরোধীরা। প্রশ্ন ওঠে, সরকার কি মনে করে যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন দিলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে? উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লিখিত জবাবে জানান, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা। অনেক রোহিঙ্গাই বেআইনি কাজকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। এদিন সংসদে কেন্দ্র সাফ বুঝিয়ে দেয় যে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের দেশে জায়গা দেওয়া হবে না। কারণ এর ফলে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বলে রাখা ভাল, বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ রয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একাংশের বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে রাজধানী দিল্লি-দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শরণার্থী শিবিরে রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। এদের দ্রুত মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্র সরকার। তবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার দাবি তুলেছে একাধিক বিরোধী দল ও মুসলিম সংগঠনগুলি।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ করে জম্মু, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বইয়ের মতো শহরে গিয়ে বেনামে গা-ঢাকা দিত রোহিঙ্গারা। আবার তাদের কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাসেরও চেষ্টা করেছে বিভিন্ন গোষ্ঠীর জঙ্গিরা। কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন হওয়ার পর থেকে জাল পরিচয়পত্র নিয়ে এই দেশের কোনও শহরেই থাকার ভরসা পাচ্ছে না রোহিঙ্গারা। ভবিষ্যতে ধরা পড়লে ফের দেশছাড়া হতে পারে তারা। তাই নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, তাইল্যান্ড, মধ্য প্রাচ্যে পালিয়ে গিয়ে সেখানেই কাজ খুঁজে নিচ্ছে অনেকেই। ইতিমধ্যেই নেপালের বেশ কিছু জায়গায় রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে, এমন খবরও পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এবার রোহিঙ্গাদের জাল পরিচয়পত্র বানানো রুখতে দালাল সিন্ডিকেটের উপর শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরদারি।