সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। রাজকোষ গড়ের মাঠ। এই অবস্থায় ডুবতে ডুবতে 'খড়কুটো' আঁকড়ে ধরতে আইএমএফের ঋণই ভরসা পাকিস্তানে। গত বছরের জুলাইয়ে ইসলামাবাদকে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিতে রাজি হয় আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার। সেই অর্থ অবশ্য একবারে না দিয়ে খেপে খেপে দিয়েছে তারা। বাকি ছিল ১.১ বিলিয়ন। সোমবার একটি বৈঠকের পর তা চূড়ান্ত হয়। যা মঙ্গলবার হাতে পেয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু এর পরও চাঙ্গা হয়নি সেদেশের শেয়ার বাজার।
পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) অবশ্য আশাবাদী, এই অর্থ তাঁদের দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থাকে দূর করতে সহায়ক হবে। কিন্তু তাঁর আশা যে খুব উজ্জ্বল রূপ গ্রহণ করেনি তা বুঝিয়ে দিচ্ছে শেয়ার বাজারের হাল। বিনিয়োগকারীরা এখনও খুব একটা উৎসাহ পাচ্ছেন না বিনিয়োগে। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান প্রশাসন আরও বেশি অর্থের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা বার বার সতর্ক করছেন এভাবে আরও বেশি ঋণের ফাঁদে না জড়াতে। এর ফল যে সুদূরপ্রসারী হতে চলেছে সে ব্যাপারে সতর্ক করছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় পর্বের ভোটের হার কীভাবে আচমকা বৃদ্ধি? প্রশ্ন বিরোধীদের]
গত দুবছর ধরে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে প্রতিবেশী দেশটি। মুদ্রাস্ফীতি আকাশ ছুঁয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে আইএমএফের ঋণেও কি ছবিটা বদলাবে? সন্দিহান অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের মতে, যদি রপ্তানি বাড়ত কিংবা বিদেশি মুদ্রা তথা ডলারের একটা প্রবাহ লক্ষ করা যেত তাহলে হয়তো বলা যেত পরিস্থিতি ভালো হয়েছে। কিন্তু তা যেহেতু হয়নি, সুতরাং অবস্থা এখনও একই রকম আশঙ্কাজনক বলে মনে করা হচ্ছে।