সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন প্রাক্তন পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। এক পদযাত্রায় তাঁর দিকে গুলি চালায় আততায়ী। কিন্তু সে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। আর তারপরই বিস্ফোরক অভিযোগ ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতাদের। তাঁদের দাবি, যে তিনজনের নির্দেশে ওই হামলা হয়েছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)! হাসপাতাল থেকে এমনটাই নাকি অভিযোগ জানিয়েছেন খোদ ইমরান।
আসাদ উমর ও মিঁয়া আসলাম ইকবাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ”কিছুক্ষণ আগেই আমাদের ইমরান জানিয়েছেন তাঁর তরফে এই বিবৃতি পেশ করতে। তাঁর বিশ্বাস, তিনজন রয়েছেন এই হামলার পিছনে। তাঁরা হলেন শাহবাজ শরিফ, রানা সানাউল্লা ও মেজর জেনারেল ফইজল। ইমরান জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই তিনি এমন অভিযোগ করছেন।” উল্লেখ্য, সানাউল্লা পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ও ফইজল আইএসআইয়ের অন্যতম শীর্ষকর্তা। নিঃসন্দেহে এমন অভিযোগ অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর।
[আরও পড়ুন: কোচবিহারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা, কাঠগড়ায় TMC]
কেমন আছেন ইমরান? এপ্রসঙ্গে ইমরানের সঙ্গীরা জানিয়েছেন, এখন বিপন্মুক্ত তাঁদের শীর্ষনেতা। কিন্তু সেই সঙ্গেই তাঁদের ঘোষণা, ”ইমরান সকলকে এটা জানিয়ে দিতে বলেছেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি নিজের প্রাণ বলিদান দিতে প্রস্তুত।”
বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘রিয়েল ফ্রিডম’ পদযাত্রায় হুডখোলা গাড়িতে ছিলেন ইমরান খান। গাড়ির একেবারে সামনে থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। আততায়ীর ঠিক পিছনেই ছিলেন এই যুবক। আততায়ীর হাত ধরে বন্দুক অন্যদিকে সরিয়ে দেন, ফলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় আততায়ী। সঙ্গে সঙ্গে পিস্তল ফেলে দৌড়তে শুরু করে বন্দুকবাজ। পিছনে ছোটেন যুবকও। আততায়ীকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেন ইমরানের এক অনুগামী। আর তাঁর এই দুঃসাহসিকতায় ধন্য ধন্য পাকিস্তান জুড়ে। সেই অনুগামীর কথায়, “প্রথমবার গুলি চালানোর পরই আততায়ীকে আমি দেখতে পেয়ে গেছিলাম। পরের বার গুলি ছোঁড়ার আগেই ওকে ধাক্কা দিই। সঙ্গে সঙ্গে বন্দুক ফেলে ও ছুটতে শুরু করে।” এরপরই তাঁর সংযোজন, “খান সাহেব, যতদিন বেঁচে আছি, গায়ে আঁচ আসতে দেব না।”