সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড় বিপদের মুখে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ফাঁসির সাজা দেওয়া হতে পারে পিটিআই চেয়ারম্যানকে। এমনটাই দাবি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, গত ৯ মে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান খানকে (Imran Khan)। ইসলামাবাদ হাই কোর্টের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাক রেঞ্জার্স। এরপরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে পিটিআই সমর্থকদের। একাধিক সরকারি ভবন, রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনার সদর দপ্তরে হামলা চালানো হয়। এই ঘটনাতেই প্রাক্তন পাক অধিনায়কের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও সেই মামলায় জামিন পেয়েছিলেন কাপ্তান।
এই বিষয়ে লাহোর পুলিশের এক তদন্তকারি আধিকারিক আনুশ মাসুদ জানিয়েছেন, “৯ মে যে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছিল তাতে ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন পিটিআইয়ের নেতা ও সমর্থকেরা। সেদিনের ঘটনা নিয়ে পুলিশ পূর্ণ তদন্ত করেছে। যেখানে প্রমাণ মিলেছে, সামরিক বাহিনীর উপর হামলা ও বিক্ষোভে উসকানি দেওয়ার মদত রয়েছে ইমরান খানের। তদন্তকারী দল তদন্তের কাগজপত্র তৈরি করছে। যা লাহোরের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে জমা দেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: ভারত-কানাডা সংঘাত মেটাতে এবার আসরে আমেরিকা]
বলে রাখা ভালো, তোষাখানা মামলায় গত ৫ আগস্ট ফের গ্রেপ্তার হন ইমরান। হাজতবাসের পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ১ লক্ষ টাকার জরিমানাও করা হয়েছিল। এমনকী পাঁচ বছর কোনও নির্বাচন লড়তে পারবেন না তিনি। ফের কারাগারে যেতে হয় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, পিটিআই প্রধান ইমরানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। যার মধ্যে তোষাখানা মামলা অন্যতম। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি পদের অপব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া উপহার সামগ্রী সরকারি ভাণ্ডার বা তোষাখানায় জমা না করে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা যে সমস্ত উপহার দেন, সেগুলো পাক তোষাখানায় জমা হয়। এই মামলার পাশাপাশি সাইফার মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ইমরান। এবার আরও বিপাকে পড়লেন তিনি।