সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবারই পাকাপাকি ভাবে পাকিস্তানের মসনদে বসেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান৷ জল্পনা, তখতে বসেই বড়সড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছেন তিনি৷ শোনা যাচ্ছে, অর্থনৈতিক করিডর সংক্রান্ত বিষয়ে চিনের উপরে চাপ বাড়াতে চলেছে পাকিস্তান তথা ইমরান প্রশাসন৷ ২০১৫-তে সিপিইসি সংক্রান্ত যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল তৎকালীন পাক প্রশাসন, সেই চুক্তির বিভিন্ন শর্ত ও বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ এমনই জানিয়েছেন ইমরানের দলের সদস্য সৈয়দ সইবিল ফরাজ৷
[কেরলের বন্যার্তদের নিয়ে ফেসবুকে রসিকতা, চাকরি খোয়ালেন যুবক]
নবগঠিত পাক সাধারণ সভার সদস্য ফরাজ আবার সংসদের পরিকল্পনা, রূপায়ণ ও উন্নয়ন দপ্তরের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য৷ তিনি জানান, আগের সরকার অর্থাৎ নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সিপিইসি বা চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করে৷ সেই চুক্তির বিষয় বস্তুই পুনরায় খতিয়ে দেখবে নয়া সরকার৷ দেখা হবে চুক্তির শর্ত বা বিষয়গুলির মধ্যে কোনগুলি পাকিস্তানের জন্য লাভজনক এবং দেশের মানুষের স্বার্থকে মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে৷ কোন শর্তগুলি পাকিস্তানের পক্ষে ক্ষতিকারক৷ এখানেই শেষ নয়, পূর্বতন নওয়াজ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগও এনেছেন এই পিটিআই সদস্য৷ তিনি জানিয়েছেন, পাক সাধারণ সভা ও স্টকহোল্ডারদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই জিনপিং প্রশাসনের সঙ্গে এই চুক্তির স্বাক্ষর করেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ৷ ফলে, অনেকেরই এই চুক্তির বিষয়ে বিন্দুমাত্র ধারনা নেই৷ ফলে বারবার বিতর্কের মধ্যে পড়তে হয়েছে সিপিইসি-কে৷
পাক প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসেই দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড সোজা করার ডাক দিয়েছেন ইমরান খান৷ সেক্ষেত্রে সিপিইসি চুক্তিকে খতিয়ে দেখে চিনের সঙ্গে এই বিষয়ে আবারও বৈঠকে বসার জল্পনা উসকে দিয়েছেন তাঁরই দলের সদস্য৷ ফরাজের দাবি, বেজিং-এর জন্য গদর পোর্টের দরজা খুলে দিলেও তা থেকে খুবই কম আয় হচ্ছে পাকিস্তানের৷ যা নিয়ে মাঝে মাঝে বিতর্ক বাঁধে৷ এবার সেই আয়ের বিষয়টি নিয়েই বৈঠক হতে পারে বলে জল্পনা উসকে দিয়েছেন তিনি৷
[দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে ওয়াশিংটনে হামলার ছক কষছে চিন!]
প্রসঙ্গত, ২০১৫-তে স্বাক্ষর হওয়া মৌ-য়ের ভিত্তিতে চীন-পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি নির্মাণকার্য শুরু হয়েছে৷ চিনের প্রস্তাবিত ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড নীতির উপর ভিত্তি করে, তাদের অর্থ সাহায্যেই এই করিডর তৈরি হচ্ছে৷ পাকিস্তানের গদর পোর্ট থেকে বালোচিস্তান হয়ে চিনের শিনজিং প্রদেশ পর্যন্ত এই পথটি তৈরি করা হচ্ছে৷ যার মোট দৈর্ঘ্য ২,০০০ কিলোমিটার৷ এই পথ তৈরি করতে কেবল অর্থনৈতিক পাকিস্তানের ক্ষতি করথে না চিন৷ পাশাপাশি, কাজে লাগাচ্ছে পেশি শক্তিও৷ এই করিডর নিয়ে প্রথম থেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছেন বালোচরা৷ অভিযোগ, বলপূর্বক তাঁদের বাসভূমি কেড়ে নিয়ে এই করিডর তৈরি করছে পাকিস্তান৷ যাতে পূর্ণ মদত দিচ্ছে চিন৷
The post প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসেই চিনের উপর চাপ তৈরির কৌশল ইমরানের appeared first on Sangbad Pratidin.