সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই তোষাখানা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অটক জেলে ঠাঁই হয়েছে তাঁর। কিন্তু গারদে দিন কাটাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত ইমরানের। আইনজীবীর কাছে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে যে সেলে রাখা হয়েছে সেখানে দিনে মাছি ভনভন করছে, রাতে পোকামাকড় বেরচ্ছে।
পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পিটিআই চেয়ারম্যান তাঁর আইনজীবীকে বলেছেন তিনি জেলে থাকতে চান না। তিনি জানিয়েছেন, “আমাকে এখান থেকে বের করুন। আমি জেলে থাকতে চাই না।” গত সোমবার ইমরানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী নাইম হায়দার পানজোঠা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জেলে সাক্ষাতের পর নাইম জানান, “এটি তৃতীয় শ্রেণির জেল। পরিষেবার মান খুব খারাপ। তিনি খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। সেলে মাছি ও পোকামাকড়ের উৎপাতের অভিযোগ জানিয়েছেন ইমরান।” তবে পানজোঠা এটাও জানিয়েছেন, জেলে যতই অসুবিধা হোক না কেন, যদি সারাজীবন কারাগারের পিছনে থাকতে হয় থাকবেন, কিন্তু মাথা নত করবেন না।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধে ‘নিরপেক্ষতার মাশুল’, মার্কিন অঙ্গুলি হেলনেই গদিচ্যুত ইমরান!]
উল্লেখ্য, তোষাখানা মামলায় গত শনিবার পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে তিন বছরের সাজা শুনিয়েছে জেলা ও দায়রা আদালত। এরই পাশাপাশি ১ লক্ষ টাকার জরিমানাও করা হয়েছে তাঁকে। অনাদায়ে আরও ৬ মাস জেলে থাকতে হবে। পাঁচ বছর কোনও নির্বাচনেও লড়তে পারবেন না তিনি।
প্রসঙ্গত, ইমরানের খানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। যার মধ্যে তোষাখানা মামলা ছিল অন্যতম। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি পদের অপব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া উপহার সামগ্রী সরকারি ভাণ্ডার বা তোষাখানায় জমা না করে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা যে সমস্ত উপহার দেন, সেগুলি পাক তোষাখানায় জমা হয়। এই মামলাতেই মাছি, পোকামাকড়ের মাঝে অটক জেলের অন্ধকার কুঠুরি এখন নতুন ঠিকানা প্রাক্তন পাক অধিনায়কের।