সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজ হল বুলডোজার ‘ওষুধে’! তারপরই বধূর জন্য দরজা খুলে গেল শ্বশুরবাড়ির। অভিযোগ, পণের দাবিতে অত্যাচার চালানো হত, এমনকী শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় তরুণীকে। এদিন এলাহাবাদ হাই কোর্টের (Allahabad High Court) নির্দেশে স্বামীর বাড়িতে বিতাড়িত স্ত্রীকে ফিরিয়ে দিতে আসে পুলিশ। যদিও পুলিশ দেখেও দরজা খুলছিল না শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজন। এরপর দরজা ভাঙতে বুলডোজার আনায় পুলিশ। কাজ হয় সেই ‘ওষুধে’। দরজা খোলেন ওই আত্মীয়রা।
গত রবিবার এই ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হলদৌর থানার হরিনগর এলাকায়। নির্যাতিতা তরুণীর নাম নূতন মালিক। নূতন নিকটবর্তী ধোকালপুরের বাসিন্দা। বছর পাঁচেক আগে হরিনগরের বাসিন্দা ব্যাংক ম্যানেজার রবিন সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু অভিযোগ, কিছুদিনের মধ্যে পণের দাবিতে নূতনের উপর অত্যাচার শুরু করে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। পাঁচ লক্ষ টাকা এবং বোলেরো গাড়ি চেয়ে চাপ দিতে থাকেন স্বামী ও তাঁর আত্মীয়স্বজন। এমনকী পণের দাবিতে তরুণীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: গঙ্গাবক্ষে নৌকায় বসে হুঁকো পান, মাংস রান্না যুবকদের! ভিডিও ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে যোগীরাজ্যে]
এরপর থেকে বাবা-মায়ের কাছে রয়েছেন নূতন। এর মধ্যে নূতনের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ১৯ জুন রবিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও সে জামিন পেয়ে যায়। কিছুদিন আগে মেয়ের জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা করেন নূতনের বাবা। তিনি অভিযোগ করেন, পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে। এরপরই নতূনকে শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশে সাহায্য করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট।
[আরও পড়ুন: দেশে ধীরে ধীরে কমছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা, একদিনে টিকা পেলেন সাড়ে ২২ লক্ষ]
সেই কাজই রবিবার করতে গিয়েছিল পুলিশ। যদিও তরুণীর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পুলিশের মুখের উপরে দরজা বন্ধ করে দেয়। একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, নূতনের শ্বশুরবাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি দল। এক পুলিশকর্মী বলছেন, ‘‘কোনও লাভ নেই। আম্মা, অনুরোধ করছি দরজাটা খুলুন। এটা হাই কোর্টের নির্দেশ।’’ এইসঙ্গে জানানো হয়, গলিতে রাখা রয়েছে বুলডোজার। বিজনৌরের পুলিশ সুপার প্রবীণরঞ্জন সিংহ জানান, বুলডোজারের কথা বলে চাপ দিতেই কাজ হয়। ভয়ে দরজা খুলে দেয় রবিনের পরিবার।