কল্যাণ চন্দ ও শাহজাদ হোসেন: একদিকে টাকা-পয়সা নিয়ে অশান্তি, তো অন্যদিকে শ্যালকের স্ত্রীকে বিয়ে করার জেদ। জামাইয়ের অন্যায় আবদার মানেনি পরিবার। আর তাই পেট্রল ঢেলে শ্বশুরবাড়ি পুড়িয়ে দিল 'কীর্তিমান' জামাই। মুর্শিদাবাদের এই ঘটনায় ইতিমধ্য়ে এক শিশু-সহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণ গিয়েছে অভিযুক্ত জামাইয়েরও।
ঘটনাটি ঘটেছে সাগরদিঘি থানার বাহালনগর গ্রামে শুক্রবার সন্ধেয়। মৃতরা হলেন কুবরা বিবি (৬২), তাহিরা বিবি (২৮), তৌফিক শেখ (৪), মর্জিম শেখ (৭০) এবং রমজান শেখ (৪০)। গুরুতর আহত অবস্থায় সাগরদিঘি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন আরও সাতজন।
[আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের বিক্ষোভে সিভিক ভলান্টিয়ারের বাইকের ধাক্কা, প্রতিবাদে বি টি রোড অবরোধ]
বছর কয়েক আগে কড়েয়া-জামিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রমজান শেখের সাথে বাহালনগরের বাসিন্দা কোহিনুর বিবির বিয়ে হয়। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বছর দুয়েক আগে আত্মঘাতী হয়েছেন কোহিনুর। সূত্রের খবর, স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে রমজান শ্যালক তামিজুদ্দিন শেখের স্ত্রী তাহিরা বিবিকে বিয়ে করার জন্য শ্বশুরবাড়িতে এসে প্রায়ই অশান্তি করত। তাহিরার স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। রমজানের এই অন্যায় দাবির বিরুদ্ধে কয়েকবার সালিশি সভাও বসেছে গ্রামে। রমজানকে বাহালনগর গ্রামে ঢুকতে নিষেধও করা হয়েছিল। তার পরও সে শ্বশুরবাড়িতে এসে অশান্তি করত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতেও শ্বশুরবাড়িতে এসে রমজান তাহিরকে বিয়ে করা নিয়ে অশান্তি করছিল। সেই সময় হঠাৎই সে নিজের সঙ্গে থাকা তরল দাহ্য পদার্থ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন লাগার পর একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীরা তাদেরকে বাঁচাতে এলে তাঁরাও কয়েকজন আহত হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি থাকা দু'জন আহতের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।