shono
Advertisement

ভরদুপুরেও এপথে কেউ নেই, ভূতের ভয়ে কার্যত পরিত্যক্ত একটা রাস্তা!

আতঙ্ক সরিয়ে রাস্তা পাকা করার দাবি স্থানীয়দের। The post ভরদুপুরেও এপথে কেউ নেই, ভূতের ভয়ে কার্যত পরিত্যক্ত একটা রাস্তা! appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 03:34 PM Feb 11, 2018Updated: 12:04 PM Sep 18, 2019

বাবুল হক, মালদহ: ভরদুপুরেও এই পথ নির্জন থাকে। একা হেঁটে যাবেন? একদম ‘না’। একের বেশি অর্থাৎ দুই-তিন-চারজন করে কার্যত দলবেঁধেই যাতায়াত করেন এলাকার মানুষজন। তাও এই ডিজিটাল যুগেও। কারণ সেই একটাই, ‘ভূতের ভয়’। যা আগেও ছিল। এখনও তা বাসা বেঁধে রয়ে গিয়েছে গ্রামবাসীদের মনে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি রাস্তা এখনও এমন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ।

Advertisement

[ভিক্ষার চাল বিক্রি করে শৌচাগার নির্মাণ, বহরমপুরে নজির বৃদ্ধার]

‘ভূতের রাস্তা’ বলে কথা। সন্ধ্যা গড়ালেই আর সেই রাস্তায় পা রাখার সাহস কারও থাকে না। রাতের বেলায় মাঝেমধ্যেই নাকি আকাশ থেকে পাথর পড়ে! শুধু তাই নয়, সেই পাথরের নাকি চোখ, কান, হাত, পা-ও রয়েছে। লোকমুখে শোনা যায় সেই পাথর একা একা রাতের রাস্তায় হাঁটাচলা করে বেড়ায়। এমনই বিশ্বাস গ্রামবাসীদের। রাস্তা নিয়ে ছড়িয়ে আছে নানা কুসংস্কার। এলাকার অনেকেই দাবি তুলেছেন, রাস্তাটি পাকা তৈরি করা হলেই আর কারও ভূতের ভয় থাকবে না। পাকা রাস্তার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামবাসীরা।

[মেয়ের সাজে ৪০০০ হাজার সুন্দরীকে প্রতিযোগিতায় হারালেন যুবক]

হরিশ্চন্দ্রপুরের কামারতা থেকে চাঁচোলের বিধুয়া। প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি কখনও সংস্কার করা হয়নি। হবেই বা কেন? একটা সময় ভূতের ভয়ে কেউ রাস্তাটি সেভাবে ব্যবহারই করতেন না। তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কামারতা। আর রশিদাবাদ অঞ্চলের অধীন বিধুয়া গ্রাম। আগাগোড়াই এই দুই গ্রামের মানুষ পাশের মানকিবাড়ি গ্রামের রাস্তা দিয়ে ঘুরপথে যাতায়াত করতেন। একান্ত যেতে হলে এলাকার লোকজন দলবেঁধে যেতেন কামারতা-বিধুয়া গ্রামের রাস্তায়। ইদানীং এই রাস্তার গুরুত্ব বেড়েছে। বিধুয়া ও কামারতা। এই দুই গ্রাম ছাড়াও হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ও চাঁচোল-১ নম্বর ব্লকের প্রায় ৩০-৪০টি গ্রামের মানুষজন সেই রাস্তাটি ব্যবহার করতে পারবেন বলে গ্রামবাসীরা সেখানে পাকা রাস্তার দাবি তুলেছেন।

[জানেন, কেন চতুর্থ ওয়ানডে-তে গোলাপি জার্সি গায়ে খেললেন প্রোটিয়ারা?]

বিধুয়া-কামারতা এলাকার বয়স্ক মানুষদের কথায়, অতীতে কামারতা ছিল বন-জঙ্গলে ভরা এলাকা। একটাসময় বাঘ-হরিণেরও নাকি দেখা মিলেছে। বাঘের ভয়ে কেউ সেই এলাকায় যেতেন না। পরবর্তীতে মানুষের মনে ভূতের ভয় বাসা বাঁধে। মানুষ সেখানে গিয়ে ‘ভূত’ দেখতে পেতেন। অশরীরীর ভয়ে মারাও গিয়েছেন অনেকেই। তারপর ‘ভূত’ তাড়ানোর জন্য রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে মন্দির-মসজিদও নির্মাণ করেন স্থানীয়রা। তারপরেও আতঙ্ক কাটেনি। ফলে নির্জনই থাকে কামারতা-বিধুয়া রাস্তাটি। স্থানীয় বাসিন্দা জাহেদুল শেখ, নাসিরুদ্দিন শেখরা জানিয়েছেন, নির্জনতার সুযোগে রাস্তাটি এখন দুষ্কৃতীদের গোপন আস্তানায় পরিনত হয়ে গিয়েছে। কেউ সেই রাস্তায় একা গেলেই দুষ্কৃতীদের খপ্পড়ে পড়ছেন। চুরি-ছিনতাই থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। তাই রাস্তাটি পাকা হলেই গাড়ি চলতে পারবে। দিনভর রাস্তায় থাকবেন মানুষ। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়শ্রী কর্মকার বলেন, “দুই পঞ্চায়েত এবং দুই ব্লকের কর্তারা এক সঙ্গে বৈঠকে না বসা পর্যন্ত সেই রাস্তার কোনও সুরাহা হবে না।” অজ্ঞাত কারণে কেউ তেমন এগোচ্ছেন না। এতেও যেন তেনাদের হাত দেখছেন অনেকে। সংখ্যায় কম হলেও উলটো মতও আছে। যুক্তিবাদীদের বক্তব্য ভূতের নাম নিয়ে দুষ্কৃতীরা কার্যত ওই রাস্তা নিজেদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত করেছে।

[তেরঙ্গা ঠিক করে ধরুন, ভারতীয় ফ্যানকে পরামর্শ দিয়ে মন জয় আফ্রিদির]

The post ভরদুপুরেও এপথে কেউ নেই, ভূতের ভয়ে কার্যত পরিত্যক্ত একটা রাস্তা! appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার