সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোখ ফুলে লাল। হাতে কালশিটে, গভীর ক্ষত। কোথাও কোথাও পুড়ে যাওয়ার দাগও রয়েছে। গত চার বছরে এই প্রথমবার প্রকাশ্যে এল পলাতক ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির (Mehul Choksi) ছবি। আপাতত ডোমিনিকার জেলে বন্দি পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হীরে ব্যবসায়ী। তাঁর সেই বন্দিদশার ছবি প্রকাশ্যে আনল অ্যান্টিগার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। তবে এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন। ছবিটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তুলেছে নাকি চোকসির আইনজীবীর মারফৎ প্রকাশ্যে এসেছে, তাও এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে পলাতক ব্যবসায়ীক দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া আরও খানিকটা কঠিন হল। শনিবারই এই ক্যারিবিয়ান দ্বীপের আদালত চোকসিকে ভারতে পাঠানোর উপর বুধবার পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তাঁর গ্রেপ্তারি আদৌ বৈধ কিনা তা খতিয়ে দেখবে আদালত। পাশাপাশি, ধৃত ব্যবসায়ীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে ওই আদালত। হাসপাতালের অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি চোকসির কোভিড পরীক্ষাও করা হয়। যদিও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এদিকে আদালতের স্থগিতাদেশের জেরে বিরাট আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত এই ব্যবসায়ীকে এখনই দেশে ফেরাতে পারছে না ভারত সরকার। উল্লেখ্য, অ্যান্টিগা সরকার মেহুল চোকসিকে ভারতে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল।
[আরও পড়ুন: উপকূলে রাসায়নিক ভরতি জাহাজে আগুন, অ্যাসিড বৃষ্টির আশঙ্কা শ্রীলঙ্কায়]
এদিকে অ্যান্টিগা সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সে দেশের বিরোধী দল ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ পার্টি। সেই দলের নেতা হ্যারল্ড লোভেল জানিয়েছেন, অ্যান্টিগার নিয়ম বলছে এ দেশের নাগরিককে বিদেশে ফেরত পাঠানো যায় না। আর মেহুল চোকসি অ্যান্টিগার নাগরিক। তাই তিনিও সাংবিধানিক সুবিধাগুলি পাবেন। উল্লেথ্য, অ্যান্টিগার সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তিও নেই। ফলে সে দেশের সরকার মেহুল চোকসিকে সরাসরি প্রত্যর্পণ করতে পারে না।
এদিকে ডোমিনিকার জেলে মেহুল চোকসিকে মারধর করা হচ্ছে বলে সরব হয়েছেন তাঁর আইনজীবী ওয়েন মার্শের অভিযোগ, “আমি খেয়াল করেছি যে তাঁকে (চোকসি) ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। তাঁর চোখ ফুলে গিয়েছে। শরীরের একাধিক জায়গায় পুড়ে যাওয়ার ক্ষত আছে।” এবার তাঁর দাবির স্বপক্ষে প্রকাশিত হল ছবি।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে অপহরণ করেছিল ভারতীয় পুলিশ’, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মেহুল চোকসির]
উল্লেখ্য, পিএনবি কেলেঙ্কারির পর ২০১৮ সাল থেকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে বসবাস করছেন মেহুল চোকসি। তাঁকে কোনও নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি বলে এদিনও দাবি করেছে অ্যান্টিগার রয়্যাল পুলিশ। অভিযুক্ত ভারতীয় ব্যবসায়ীর নাগরিকত্ব নিয়ে বরাবর আপত্তি জানিয়েছে অ্যান্টিগা সরকার। সেই আপত্তিকে হাতিয়ার করেই পলাতক ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরাতে মরিয়া ভারত সরকার।