সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ফের প্রকাশ্যে বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীকোন্দল। এবার ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমান। বুধবার পূর্ব বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ নন্দীর বিরুদ্ধে কার্জন গেটে পোস্টার দিল দলেরই একাংশই। যদিও গোটা ঘটনাই তৃণমূলের চক্রান্ত বলে দাবি জেলা বিজেপি নেতৃত্বের।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই পূর্ব বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি সন্দীপ নন্দীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠছে। এবিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখিও করেছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার সকালে শহরের কার্জন গেট এলাকায় নজরে পড়ে সন্দীপ নন্দীর নামে বেশ কয়েকটি পোস্টার। কোনওটিতে লেখা “সন্দীপ নন্দী TMC -এর দালাল। উত্তম-খোকন-সন্দীপ ভাইভাই, আর কর্মীরা পড়ে মার খায়।” কোনওটায় লেখা, “তৃণমূল কংগ্রেসের কোলের ছেলে সন্দীপ দাস দূর হটো।” অমিত শাহকে উদ্দেশ্য করে একটা পোস্টারে লেখা হয়েছে, “অমিতজি দেখে যান পার্টির টাকায় লালে লাল হয়ে গেছেন সন্দীপ নন্দী।” এছাড়াও দলের একাধিক নেতার নাম রয়েছে সেই পোস্টারে। এই পোস্টারকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানে। বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের ফায়দা নেওয়ার চেষ্টায় শাসকদল। যদিও অন্তর্কলহের তত্ত্ব মানতে নারাজ বিজেপি।
[আরও পড়ুন: জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ ঘিরে বোমাবাজি ও গুলিতে রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদ, প্রাণ গেল নিরীহের]
এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শ্যামল রায় বলেন, “আমাদের দলের কেউ এরকম কাজ করতে পারেন না। গোটা রাজ্যের মতোই পূর্ব বর্ধমানেও তৃণমূলের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সেই কারণেই এইভাবে বিজেপি কর্মীদের নামে নানারকম মন্তব্য করছেন।” এবিষয়ে তৃণমূল নেতা খোকন দাস বলেন, “গোটা রাজ্যে বিজেপি কর্মীর সংখ্যা খুবই কম। পূর্ব বর্ধমানেও সামান্য কয়েকজন কর্মী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রচণ্ড অশান্তি। তার জেরেই এই ঘটনা।”