স্টাফ রিপোর্টার: কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা। নতুন একটা ব্যাকটেরিয়া। তাই শেষ করছে আরেক মারণ ব্যাকটেরিয়াকে। মারণ সে ব্যাকটেরিয়ার নাম ফিকাল কলিফর্ম। পেটে গেলে হয় নানা অসুখ। ত্বকের সংস্পর্শে এলে চর্মরোগও। তাকে মারতেই নতুন ব্যাকটেরিয়া এনেছে রাজ্যের পরিবেশ দপ্তর। মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন, আপাতত গোটা বিষয়টা পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্তরে রয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের জলের ট্যাঙ্কে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া ছিল। নতুন ব্যাকটেরিয়া ওর মধ্যে ফেলে দিতেই তা কলিফর্ম খেয়ে নিকেশ করেছে। পরিবেশ দপ্তর আর রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যৌথভাবে সেই রিপোর্ট পেশ করতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)।
পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, দক্ষিণশ্বরের কাছে গঙ্গায় ফিকাল কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া পরিমাণ প্রতি ১০০ মিলিলিটার জলে ২ লক্ষ ৪০ হাজার। এই পরিস্থিতি গঙ্গার স্বাস্থ্যের জন্য তো বটেই, জনস্বাস্থ্য ও ভূবৈচিত্র্যের পক্ষেও বিপজ্জনক। নতুন ব্যাকটেরিয়া গঙ্গায় (Ganges) ফেলতে পারলেই কাটবে বিপদ। তবে তার আগে দক্ষিণেশ্বরের জলাশয়ে এই ব্যাকটেরিয়া ফেলে প্রাথমিক পরীক্ষা করতে চায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং পরিবেশ দপ্তর।
[আরও পড়ুন: ১৪০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ, দেশের করোনা পরিসংখ্যানে ফের উদ্বেগ]
বুধবার পরিবেশ দপ্তরের সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র। তিনি জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ আমাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। পরিকল্পনা রয়েছে বড় বড় হোটেল আবাসনের জলের ট্যাঙ্কে ছাড়া হবে এই বন্ধু ব্যাকটেরিয়া। দপ্তরের সচিব রোশনি সেন জানিয়েছেন, মিথেনের গন্ধও শুষে নিচ্ছে ওই ব্যাকটেরিয়া। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আগেই জানিয়েছিল।
বিহার, ঝাড়খণ্ড এমনকী, দিল্লির দূষিত হাওয়া ঢুকছে বাংলায়। বঙ্গের দূষণের ৩০ শতাংশই পড়শি রাজ্য থেকে। সেখানকার ফসল পোড়ানো দূষিত বাতাস, গাড়ির ধোঁয়া, কলকারখানার বিষবাষ্প ঢুকছে বাংলায়। দূষণ ঠেকাতে জুন মাসের মধ্যে বাংলার সীমান্তে ২৭০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে লাগানো হবে গাছ। পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন তিনটে স্তরে লাগানো হবে এই গাছ। একদম নিচে থাকবে করবী, কল্কে, আকন্দ, বাসক, কারিপাতা, গন্ধরাজ, বিশল্যকরণী। মাঝে থাকবে বকুল তমাল, পিয়াল, নারাঙ্গা, কুর্চি, শিশু গাছ। এছাড়া একদম উপরে লাগানো হবে ছাতিম, নিম, কদম, অর্জুন, জাম, গাব গাছ। পশ্চিম মেদিনীপুরে এতদিন কোনও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অফিস ছিল না। খুব দ্রুতই তা তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই জমি চিহ্নিতকরণ হয়ে গিয়েছে।