সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং যা ঘটে চলেছে, সেসব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জনগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। মঙ্গলবারের টুইটে তিনি তিনদিনের সময়সীমা দিয়েছিলেন। অর্থাৎ ১২ তারিখের মধ্যে যাবতীয় রিপোর্ট নিয়ে রাজভবনে পুলিশ ও প্রশাসনের দুই কর্তার সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে সময়ের আগেই রাজভবনে যাচ্ছেন মুখ্যসচিব, ডিজিপি। বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করে রাজ্যপাল নিজেই জানিয়েছেন, এদিন সন্ধে ৬ টা নাগাদ রাজভবনে দেখা করতে যাবেন মুখ্যসচিব (Chief secretary) ও ডিজিপি। উভয়ের সঙ্গে সদর্থক আলোচনা হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।
আগেও বেশ কয়েকবার প্রশাসন ও পুলিশের সর্বোচ্চ আধিকারিকদের তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু বারবারই তিনি অভিযোগ করেছেন যে তাঁর এই ডেকে পাঠানো উপেক্ষিত হয়েছে। কেউ তাঁর সঙ্গে দেখাও করেননি, কোনওরকম রিপোর্টও দেননি। এ নিয়ে একটা সময় পর ধনকড় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন। চলতি সপ্তাহে বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানে পুলিশ-বিক্ষোভকারীর সংঘর্ষের মাঝে পড়ে এক দলীয় কর্মীর প্রাণ হারানো এবং তার পরপরই রাজ্যে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সফরে একাধিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জেরে ফের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তোপ দাগেন সাংবিধানিক প্রধান। টুইটারে ফের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তলব করেন। জানান যে ১২ তারিখের মধ্যে যেন তাঁকে সমস্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: অর্থনীতি থেকে শিক্ষা, তৃণমূল জমানায় ১০ বছরে কী কী উন্নয়ন? রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ শাসক দলের]
সেই ডাকে এবার সাড়া দিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিজিপি বীরেন্দ্র। তাঁদের এই পদক্ষেপ স্বাগত জানিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি রাজ্যপাল। তাঁর বক্তব্য, অক্টোবর মাস থেকে তিনি প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মমতা সরকারের উদাসীনতায় তা সম্ভব হয়নি। এছাড়া জেপি নাড্ডার সফর ঘিরে ডায়মন্ড হারবারের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে, এ বিষয়ে তিনি মুখ্যসচিবকে সতর্ক করেছিলেন বলেও টুইটে উল্লেখ করেছেন। মুখ্যসচিব সেই সতর্কবার্তায় গুরুত্ব দিয়ে ডিজিপিকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে পালটা উত্তর দিয়েছেন রাজ্যপালকে। দুপুরের দিকে ডায়মন্ড হারবারে যাওয়ার পথে নাড্ডার কনভয় এবং অন্যান্য বিজেপি নেতাদের গাড়িতে হামলার পর এসবও প্রকাশ্যে এনেছেন ধনকড়। এখন সন্ধের সাক্ষাতে কী হয়, সেদিকে নজর সবমহলের।