সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানার (Haryana) সাম্প্রদায়িক হিংসায় ৬ জনের মৃত্যুর পরে মহাপঞ্চায়েতের ডাক দিয়েছে হিন্দু গোষ্ঠী। তবে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সাফ নির্দেশিকা দেওয়া হয়, মহাপঞ্চায়েতের ভাষণে কোনও ভাবেই ঘৃণাভাষণ না ছড়ায়। কিন্তু ভাষণ চলাকালীন এই নির্দেশিকা কার্যত উড়িয়ে দিলেন মহাপঞ্চায়েতের নেতারা। একাধিকবার তাঁদের ভাষণ চলাকালীন উঠে আসে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য। ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও একাধিক নেতা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন।
গত ৩১ জুলাই হরিয়ানার নুহ-তে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। ছয়জনের মৃত্যু হয়। তারপরেই কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে হরিয়ানা। রাজ্যের এহেন পরিস্থিতিতে মহাপঞ্চায়েতের ডাক দেয় সর্ব হিন্দু সমাজ নামে একটি সংগঠন। আগামী ২৮ আগস্ট একটি যাত্রারও ডাক দিয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের আয়োজিত সম্মেলনে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তবে রবিবারের সম্মেলনে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের নয়া ব্যাখ্যা কেন্দ্রের, ধরা পড়লে যাবজ্জীবন-ন্যূনতম ১০ লাখ জরিমানা, মিলবে না প্যারোলও]
নুহ জেলার সীমান্তবর্তী পন্দ্রি গ্রামে ৫০০ জনের বেশি লোকের জমায়েত করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন। দুপুর দু’টোর মধ্যে সম্মেলন শেষ করতে বলা হয়। হিংসা রুখতে অস্ত্র নিয়ে সম্মেলনে ঢোকার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ। সেই সঙ্গে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনওভাবেই ঘৃণাভাষণ ছড়ানো যাবে না। যদি কারোওর মুখে আপত্তিকর ভাষণ শোনা যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই অভিযোগ দায়ের করবে পুলিশ।
একগুচ্ছ নির্দেশিকা থাকলেও কার্যক্ষেত্রে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। মহাপঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন নেতার মুখে আপত্তিকর ভাষণ শোনা যায়। কেউ বলেন, “আমাদের দিকে আঙুল তুললে তার হাত কেটে নেওয়া হবে।” কেউ বা আবার আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দাবি করেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মহাপঞ্চায়েতের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন ছিল। কিন্তু নেতাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।