shono
Advertisement

‘আমরা শুধু নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছি’, কংগ্রেসের ‘বিরোধিতা’প্রসঙ্গে সাফাই তৃণমূলের

মঙ্গলবারই রাজ্যসভার সাংসদ পদে শপথ নিয়েছেন সুস্মিতা দেব।
Posted: 03:31 PM Oct 26, 2021Updated: 04:11 PM Oct 26, 2021

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: লাগাতার কংগ্রেসকে আক্রমণ। বিভিন্ন রাজ্যের বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদের দলে যোগদান করানো। ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে দলের ইউনিট খোলা। সাম্প্রতিক অতীতে তৃণমূলের করা একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস। অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury), পি চিদম্বরমদের বক্তব্য, বিরোধী জোটকে শক্তিশালী না করে ঘুরিয়ে দুর্বল করছে তৃণমূল। লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী তো রীতিমতো মমতাকে ‘বিজেপির মিডলম্যান’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য বিজেপিকে (BJP) হারানো। বিরোধী শিবিরকে দুর্বল করা নয়। বরং তাঁরা শুধু নিজেদের শক্তি বাড়াতে চাইছেন।

Advertisement

ফাইল ছবি

মঙ্গলবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠক করে সুখেন্দুশেখর রায়, সুস্মিতা দেবরা দাবি করলেন, বিরোধীদের মধ্যে ঐক্য তৃণমূলও চায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee) বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে একত্রিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। মমতাই সোনিয়া গান্ধীকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তারপর কংগ্রেসের তরফে তেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কংগ্রেসের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করা সম্ভব নয়।

[আরও পড়ুন: গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রাক্তন রাজ্যপালের, ইস্তফার দাবিতে সরব TMC]

তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এদিন বললেন,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) প্রথম বিরোধী জোটের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তারপর কংগ্রেস (Congress) আর কোনও উদ্যোগ নেয়নি। কংগ্রেসের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করা যায় না। আমরা শুধু নিজেদের দলের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছি।” সুস্মিতা দেব সুর আরও খানিকটা চড়িয়ে বলে দেন,”বাংলা বা ত্রিপুরায় তো কংগ্রেসের কোনও শক্তি নেই। তাহলে কি এই রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস লড়বে না?” তৃণমূল (TMC) নেতাদের বক্তব্য, যে কোনও রাজনৈতিক দলই নিজেদের শক্তিশালী করার চেষ্টা করতেই পারে। এতে ভুল কিছু নেই।

[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে পাকিস্তানের জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশের জের, রাজস্থানে চাকরি গেল শিক্ষিকার]

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই রাজ্যসভার সাংসদ পদে শপথ নিয়েছেন সুস্মিতা (Susmita Deb)। এ রাজ্যের রাজ্যসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয়েছিল। বিজেপি প্রার্থী না দেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এদিকে ত্রিপুরায় অশান্তি নিয়ে দিওয়ালির পরই রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement