সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ২৩৩ রানে থেমে গেল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। বুমরাহ-সিরাজদের ঝড় সামলে লড়াকু ইনিংস উপহার দিলেন বাংলাদেশের ব্যাটার মোমিনুল হক। তিনি অপরাজিত রইলেন ১০৭ রানে। বিপরীতে মুশফিকুর, লিটন, শাকিবরা একের পর এক ফিরে গেলেও বাংলাদেশের ইনিংসকে টানেন মোমিনুল।
দিনের শুরুতেই বুমরাহর দুরন্ত সুইং ছিটকে দেয় মুশফিকুরের উইকেট। তার পর খেলার গতি ধরতে চেয়েছিলেন মোমিনুল ও লিটন। কিন্তু সেই সময় লিটনের দুরন্ত ক্যাচ ধরেন অধিনায়ক রোহিত। লিটন যেন নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না সেটা। কিন্তু একটা ক্যাচেই রক্ষা নেই। এর পর অসাধারণ ক্যাচ নিয়ে শাকিবকে ফেরান মহম্মদ সিরাজ। পিছন দিকে অনেকটা দৌড়ে যাওয়ার পর শরীর ছুঁড়ে বল তালুবন্দি করেন তিনি।
এর মাঝে অবশ্য দুটি ক্যাচ ফসকান জয়সওয়াল ও বিরাট। তার মধ্যে মোমিনুলের রান যখন ৯৫, তখন স্লিপে শরীর ছুঁড়েও ক্যাচ ধরতে পারেনি বিরাট। নাহলে হয়তো ভারত আরও সুবিধাজনক থাকত। চতুর্থ দিনে লাঞ্চের সময় বাংলাদেশের রান ছিল ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৫। ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন মোমিনুল হক।
লাঞ্চের পর ফের স্বমহিমায় বুমরাহ। সিম পজিশনকে অসাধারণ ব্যবহার করে মেহেদি হাসানকে ফাঁদে ফেললেন। শুভমান গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন বাংলাদেশের ব্যাটার। তার পর তাইজুল ইসলামের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিলেন বুমরাহ। মহম্মদ সিরাজের বলে এলবিডব্লু হন হাসান মাহমুদ। আর খালেদ আহমেদকে আউট করেন রবীন্দ্র জাদেজা। এই নিয়ে টেস্টে তাঁর ৩০০ উইকেট হয়ে গেল।
ম্যাচের যা গতিপ্রকৃতি তাতে ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছিল বলেই মনে করা হচ্ছিল। তবে রোহিত-জয়সওয়ালরা যেভাবে বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেছেন, তাতে জয়ের আশাও ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশের রান দ্রুত টপকে ডিক্লেয়ার দিয়ে দেওয়াও আশ্চর্যের সময়। সেক্ষেত্রে ফের বুমরাহ-অশ্বিনরা জ্বলে উঠলে এই টেস্টও পকেটে পুরবে ভারত।