ইংল্যান্ড, প্রথম ইনিংস: ৩৫৩/১০ (জো রুট ১২২*, বেন ফোকস ৪৭, জাদেজা ৪/৬৭, আকাশ দীপ ৩/৮৩)
ভারত: ৩০৭/১০ (ধ্রুব জুরেল ৯০*, জয়সওয়াল ৭৩, বশির ৫/১১৯, হার্টলি ৩/৬৮)
ইংল্যান্ড, দ্বিতীয় ইনিংস: ১৪৫/১০ (জ্যাক ক্রলি ৬০, অশ্বিন ৫/৫১, কুলদীপ ৪/২২)
ভারত, দ্বিতীয় ইনিংস: ১৯২/৫ (রোহিত ৫৫, জয়সওয়াল ৩৭, শুভমান ৫২*, ধ্রুব ৩৯*)
ভারত ৫ উইকেট জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় দিন শেষ ৩০ মিনিটেই দুজন বাইশ গজে ঝড় তুলেছিলেন। রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও যশস্বী জয়সওয়ালের (Yashasvi Jaiswal) ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল রাঁচি টেস্ট জিতে চলতি সিরিজ পকেটে পুরে নেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে জয় পেলেও অনেক লড়াই করতে হল। ভেঙে যাওয়া পিচে ব্যাপক লড়াই দিল ইংল্যান্ড (England)। স্বভাবতই ভারতীয় ড্রেসিংরুমের চাপ বেড়ে গিয়েছিল। তবুও শেষ পর্যন্ত শুভমান গিল (Shubman Gill) এবং ধ্রুব জুরেলের (Dhruv Jurel) লড়াকু জুটির উপর ভর করে চতুর্থ টেস্ট ৫ উইকেটে জিতল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। শুভমান ১২৪ বলে ৫২ এবং ধ্রুব ৭৭ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ম্যাচ ও সিরিজ জেতালেন। আপাতত ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।
ব্যক্তিগত কারণে পুরো সিরিজেই নেই বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট বজায় রাখতে গিয়ে জশপ্রীত বুমরাহকে (Jasprit Bumrah) বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। কেএল রাহুল (KL Rahul) চোটে জর্জরিত। চোটের জন্য খেলতে পারেননি মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। তবে তাতে কী! বেন স্টোকসদের (Ben Stokes) শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে একাধিক নতুন মুখ নিয়েই বাজিমাত করলেন অধিনায়ক রোহিত। শুধু তো অধিনায়ক হিসেবে নয়, ব্যাটার হিসেবেও উদাহরণ তৈরি করলেন হিটম্যান। তৃতীয় দিনের শেষে ভারতের জেতার জন্য দরকার ছিল আরও ১৫২ রান। গত কয়েকটি ইনিংসের মতো যশস্বী এবারও বিস্ফোরক মেজাজেই ছিলেন। কিন্তু নিজের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলেন না। জো রুটের বলে জেমস অ্যান্ডারসনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন ব্যক্তিগত ৩৭ রানে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনেই আইএসএল ডার্বি, কলকাতা থেকে সরছে ইস্ট-মোহন ম্যাচ?]
এদিকে ৮১ বলে ৫৫ রানে আউট হলেও জয়ের ভিত গড়ে যান রোহিত। রাঁচির লো অ্যান্ড স্লো পিচে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করার তেমন অভিজ্ঞতা এই ভারতীয় দলের ছিল না। একটু ভুল করলেই সিরিজে সমতা ফেরাতে পারত ইংল্যান্ড। রোহিত লড়লেও রজত পাতিদার পারলেন না! এবারও তিনি ব্যর্থ। ফলে ১০০ রানে ৩ উইকেট হারাতেই ভারতের উপর চাপ বেড়ে যায়। রজতের পর সাজঘরে ফেরেন সরফরাজ খান। কিছুক্ষণ পর আউট হয়ে যান রবীন্দ্র জাদেজা।
একাই তিন ব্যাটারকে তুলে নেন শোয়েব বশির। প্রথম ইনিংসে ১১৯ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার পর, এবারও দারুণ পারফর্ম করলেন অফ স্পিনার। তাঁর দাপটে মাত্র ১২০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন প্রায় ব্যাকফুটে ভারত। ঠিক সেই সময় রুখে দাঁড়ালেন শুভমান। তাঁকে সঙ্গ দিলেন প্রথম ইনিংসের নায়ক ধ্রুব। দুজন ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করলেন ৭২ রান। আর সেই সৌজন্যেই ভারতের কাছে জয়ের দরজা খুলে যায়।
এই ধ্রুবের সঙ্গেই জুটি বেঁধে প্রথম ইনিংসে ৩০৭ রানে দলকে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছিলেন কুলদীপ। প্রথম ইনিংসে তিনশোর গণ্ডি না পেরলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেও পারত। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদীপ ও জাদেজার স্পিন দাপটের সামনে জ্যাক ক্রলি ও জনি বেয়ারস্টোর ছাড়া কেউ টিকতেই পারেননি। অশ্বিন নেন ৫১ রানে ৫ উইকেট। পিছিয়ে ছিলেন না কুলদীপও। তুলে নেন ২২ রানে ৪ উইকেট।
বাকিটা বুঝে নিলেন রোহিত ও তাঁর দুই তরুণ ব্যাটার শুভমান এবং ধ্রুব। ফলে শেষ টেস্ট নিয়মরক্ষার হয়ে রয়ে গেল।