সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংল্যান্ডের (England) টেস্ট দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ক্রিকেট দুনিয়াতে চলছে ‘বাজবল’ নিয়ে আলোচনা। হেড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম (Brendon McCullum) ও অধিনায়ক বেন স্টোকসের (Ben Stokes) সময় আগ্রাসী মনোভাবের ক্রিকেট খেলার জন্য বিপক্ষের কাছে সমীহ আদায় করে নিয়েছে সাহেবরা। এদিকে আগামী বছর ভারত সফরে আসছেন জো রুট (Joe Root)-জনি বেয়ারস্টোরা (Jonny Bairstow)। রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)-বিরাট কোহলিদের (Virat Kohli) বিরুদ্ধে পাঁচটি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রশ্ন হল উপমহাদেশের স্পিন সহায়ক পিচে আদৌ ‘বাজবল’ ক্রিকেট সম্ভব? যদিও মাইকেল ভন (Michael Vaughan) কিন্তু নিজের দলের ক্রিকেটারদের সতর্ক করে দিলেন। যদিও ক্রিকেট পন্ডিতদের দাবি, এটা ভারতের বিরুদ্ধে মাইকেল ভনের ‘মাইন্ডগেম’ ছাড়া আর কিছুই নয়।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, “ঠিকই বলেছেন। ভারত এই মুহূর্তে অন্যতম শক্তিশালী দল। ঘরের মাঠে তো ওরা অপ্রতিরোধ্য। এমন একটা দলের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে খেলা অনেক বড় চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। সেই চ্যালেঞ্জ নিতে আমাদের ক্রিকেটাররা মানসিকভাবে প্রস্তুত। আশাকরি আমাদের দল ‘বাজবল’ ব্র্যান্ড থেকে সরে দেখেশুনে বিপক্ষের বোলারদের সামলাবে।” গত অ্যাশেজে ঘরের মাঠে ‘বাজবল’ ব্র্যান্ড বজায় রেখে খেলতে গিয়ে দুটি টেস্ট হেরে যায় ইংল্যান্ড। যদিও মাইকেল ভনের দাবি, “গত অ্যাশেজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পরেও বেন স্টোকসের দল কামব্যাক করেছিল। তাই এবার ভারত সফরে ইংল্যান্ড দলের কাছে ভালো পারফরম্যান্স আশা করতেই পারি।”
[আরও পড়ুন: রোহিত-বিরাটদের মোকাবিলার জন্য একাধিক স্পিনার নিয়ে আসছে বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড]
একদিকে ইংরেজ ব্যাটাররা শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেললেও, রুটদের রুখে দেওয়ার জন্য ঘরের মাঠে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদবের মতো স্পিনাররা। সেটা মাইকেল ভন জানেন। সঙ্গে থাকবেন জশপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ শামির মতো তারকা জোরে বোলার। সেটা মনে করিয়ে মাইকেল ভন যোগ করেছেন, “ভারতের মাটিতে অশ্বিন, জাদেজা, অক্ষর ও কুলদীপকে খেলা মোটেও সহজ নয়। ঠিক যেমন কঠিন ন্যাথান লিয়নের বিরুদ্ধে খেলা। লিয়ন ইংল্যান্ডের মতো জায়গায় একের পর এক উইকেট পেয়ে যায়। তাহলে ভারতের স্পিনাররা নিজেদের ঘরের মাঠে কেমন পারফরম্যান্স করবে সেটা ভেবে দেখতেই পারেন।”
পরিসংখ্যান বলছে গত ১৮ মাসের মধ্যে খেলা ১৩টি টেস্টের মধ্যে ১১টি ম্যাচ জিতেছে ইংল্যান্ড। হার দুই ম্যাচে। সেটাও আবার অ্যাশেজে। জোড়া টেস্ট জিতে সিরিজে পিছিয়ে গেলেও, সিরিজের তৃতীয় ও পঞ্চম টেস্ট জিতে কামব্যাক করেছিল ইংল্যান্ড।
আসন্ন ভারত সফরে পাঁচটি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। প্রথম টেস্ট ২৫-২৯ জানুয়ারি হায়দরাবাদে। ২-৬ ফেব্রুয়ারি বিশাখাপত্তনমে দ্বিতীয় টেস্ট। তৃতীয় টেস্ট হবে ১৫-১৯ ফেব্রুয়ারি। খেলা হবে রাজকোটে। ২৩-২৭ ফেব্রুয়ারি হবে চতুর্থ টেস্ট। সেই ম্যাচ আয়োজিত হবে রাঁচিতে। পঞ্চম টেস্ট হবে ধরমশালায়। ৭-১১ মার্চ পর্যন্ত।