সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইয়র্কার, রিভার্স সুইংয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামালেন জশপ্রীত বুমরাহ। ভারতের তারকা পেসার রেকর্ড দড়লেন, ছটি উইকেট নিলেন, ভারতের হাতে দ্বিতীয় টেস্টের রাশ তুলে দিলেন।
প্রথম ভারতীয় পেসার হিসেবে দ্রততম দেড়শো উইকেট শিকারী হন বুমরাহ। অবশ্য ভারতীয় স্পিনাররা তাঁর থেকে অনেক কম টেস্ট খেলে দেড়শো উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছন। প্রথম ভারতীয় পেসার হিসেবে দ্রুততম দেড়শো উইকেটের মালিক হলেন তিনি। ৩৪টি টেস্ট ম্যাচ থেকে দেড়শো উইকেট নেন বুমরাহ। উল্লেখ্য, রবীন্দ্র জাদেজা ৩২টি টেস্টে দেড়শো উইকেট নিয়েছিলেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২৯টি টেস্টে এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন। বুমরাহর জন্যই বিশাখাপত্তনম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে এগিয়ে ভারত।
[আরও পড়ুন: ‘পূজারা কিন্তু অপেক্ষা করছে!’, ফর্ম হারানো শুভমানকে সতর্ক করলেন রবি শাস্ত্রী]
পাকিস্তানের পেসার ওয়াকার ইউনিস ২৭টি ম্যাচ থেকে দেড়শো উইকেট সংগ্রহ করেন। বুমরাহ শাস্ত্রীর কাছে সাক্ষাৎকারে বলেন, উইকেট তুলতে হলে রিভার্স সুইং কীভাবে করতে হয়, সেটা জানতে হবে বোলারদের। ভারতের মাটিতে খেললে রিভার্স সুইং খুবই জরুরি। ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি ব্যাটারকে পরিকল্পনা করে আউট করেছে বোলাররা। এটা আমাকে প্রেরণা জোগাত।” বুমরাহ আরও বলেন, ”প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট যারা খেলেছে দেশের মাটিতে তারা জানে রিভার্স সুইং। যখনই বল রিভার্স সুইং করতে শুরু করে, তখনই ম্যাজিক বল করার প্রবণতা থাকে বোলারের। ম্যাজিক ডেলিভারিতে উইকেট পাবে এমন নয়। ইন সুইং ও আউট সুইং করে উইকেট পাওয়া যাবে না। উইকেট নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে ব্যাটারকে আউট করতে হয়। চতুর্থ বলের পরে আমার মনে হয়েছিল রুট ভাবছে ওকে ইন সুইঙ্গার দেব। আমি ওকে অ্যাওয়ে সুইঙ্গার দিই।”
দেড়শো উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন বুমরাহ। তিনি খুশি। বলছেন, ”আমি সাধারণত রেকর্ড, উইকেট সংখ্যা নিয়ে বেশি ভাবনাচিন্তা করি না। কারণ তাহলে অহেতুক চাপ বাড়বে। আমি একটা জিনিসই মনে করি, তা হল, আমি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই এবং টেস্ট ক্রিকেট উপভোগ করতে চাই।”