রাজস্থান রয়্যালস: ১৭৩/৪ (যশস্বী ৭৫, জুড়েল ৩৫, হ্যাজেলউড ২৬/১)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৭৫ (সল্ট ৬৫, কোহলি ৬২, কার্তিকেয় ২৫/১)
৯ উইকেটে জয়ী আরসিবি।

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেনা ছন্দে আরসিবি। রাজস্থানকে হারিয়ে ফের জয়ের সরণিতে বেঙ্গালুরু। ১৭৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা ১ উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় তারা। সৌজন্যে ফিল সল্ট এবং বিরাট কোহলি। সল্ট ৩৩ বলে ৬৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হলেও বিরাট কোহলি ছিলেন লক্ষ্যে স্থির। বলা যায়, এই দুই তারকার চওড়া ব্যাটে ভর করেই হাসি মুখে মাঠ ছাড়ে বেঙ্গালুরু। এদিন বিরাট নজিরও গড়েন কোহলি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শততম হাফসেঞ্চুরির মালিক হলেন তিনি।
এদিন টস জিতে রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যাট করতে পাঠান আরসিবি অধিনায়ক রজত পাতিদার। রাজস্থানের দুই ওপেনারই বুঝেশুনে খেলতে থাকেন। প্রথম ৬ ওভারে ওঠে ৪৫। এরপরই ছন্দপতন। ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার বলে স্ট্যাম্প হয়ে সাজঘরে ফেরেন সঞ্জু স্যামসন (১৫)। রাজস্থানের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান যশস্বী জয়সওয়াল। ইদানীং তাঁর ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে এদিন ৪৭ বলে ৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে সমালোচকদের জবাব দিলেন। রিয়ান পরাগ ৩০ এবং ধ্রুব জুড়েল ৩৫ রান করেন। তবে রাজস্থানের রান ১৭৩-এর বেশি হয়নি। ভুবনেশ্বর কুমার, যশ দয়াল, জস হ্যাজেলউড, ক্রুণাল পাণ্ডিয়া নেন একটি করে উইকেট।
জবাবে অসাধারণ স্ট্র্যাটেজি নিয়ে নেমেছিলেন আরসিবি'র দুই ওপেনার। ফিল সল্ট আক্রমণাত্মক শুরু করেন। অপরপ্রান্তে বিরাট কোহলি ছিলেন সাবধানী। ৩৩ বলে ৬৫ করে কুমার কার্তিকেয়র বলে জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সল্ট। রাজস্থানের একমাত্র সাফল্য বলতে এটুকুই। এরপর কোহলি ফিনিশারের ভূমিকা পালন করে আরসিবি'কে জয়ের সরণিতে নিয়ে যান। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৫ বলে ৬২ রানে। ৩৯ বলে পঞ্চাশের গণ্ডি টপকান কোহলি। সঙ্গে দেবদত্ত পাড়িক্কল ২৮ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।