সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধ্বংসী ফর্ম অব্যাহত শুভমান গিলের। প্রথম দুম্যাচে শতরান আসেনি। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচে বহু প্রতীক্ষিত সেঞ্চুরি করলেন ভারতের সহ-অধিনায়ক। ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির পর ১৬ মাস অপেক্ষা করতে হল গিলকে। সেই সঙ্গে ওয়ানডেতে ২৫০০ রানও হয়ে গেল তাঁর। অন্যদিকে চেনা ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েও ৫২ রানে থামতে হল বিরাট কোহলিকে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরির পর এদিন ১ রানে ফিরলেন রোহিত। তবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বড় রানের দিকে এগোচ্ছে ভারত।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজের দুটিতেই জিতেছেন রোহিতরা। ফলে আহমেদাবাদে নিয়মরক্ষার লড়াই। যদিও চুনকামের সুযোগ থাকছে ভারতের কাছে। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নজরে থাকবে তারকা ক্রিকেটারদের ফর্ম। কটকে আগের ম্যাচে ঝকঝকে সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন রোহিত। এদিন হাফ সেঞ্চুরিতে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন বিরাট কোহলি। টেস্টে তাঁর ব্যাটিংয়ের মধ্যে যে অতি সাবধানতা দেখা গিয়েছিল, এদিনের ইনিংসে তা একেবারেই উধাও। সাবলীল ভঙ্গিতেই ব্যাট করলেন তিনি। তবে ৫৫ বলে ৫২ রানে থামল কোহলির ইনিংস। আদিল রাশিদের বলে উইকেটকিপার ফিল সল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি। তবে এদিনের ইনিংস বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে কোহলিকে। এই নিয়ে ৭৩টি হাফ সেঞ্চুরি হয়ে গেল তাঁর।
তবে সিরিজের নায়ক অবশ্যই শুভমান গিল। অস্ট্রেলিয়া সফরে ফর্মে ছিলেন না। কিন্তু ওয়ানডে ফিরতেই ছন্দে ফিরলেন তিনি। অবশ্য গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরে ছন্দে ছিলেন না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ থেকেই আগুনে ফর্মে। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৮৭ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৬০ রান। অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত সেঞ্চুরি এল তৃতীয় ম্যাচে। ৯৫ বলে শতরান হাঁকালেন তিনি। যা তাঁর সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। তাঁর শেষ সেঞ্চুরি এসেছিল ২০২৩-র সেপ্টেম্বরে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। অবশেষে ১৬ মাস অপেক্ষার অবসান। শেষ পর্যন্ত ১০২ বলে ১১২ রান করে রাশিদের বলে ফেরেন গিল।
