সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2023) মঞ্চে ফের একবার ভারত (Team India) বনাম পাকিস্তান (Pakistan) ম্যাচ বলে কথা। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন সুপার ফোরের যুদ্ধে নামার আগে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) সাংবাদিক বৈঠকে আসবেন। কিন্তু তেমনটা হল কোথায়! দু’দেশের সংবাদমাধ্যমকে চমকে দিয়ে প্রশ্নের বাউন্সার-ইয়র্কার হজম করতে চলে এলেন শুভমান গিল ( Shubman Gill) ।
খুব কম সময়ে ক্রিকেট বিশ্বে প্রভাব ফেলে দিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার তরুণ ওপেনার। তবে ২ সেপ্টেম্বর শাহিন শাহ আফ্রিদি-হ্যারিস রাউফ ও নাশিম শাহের বিরুদ্ধে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি শুভমান। ৩২ বল খেলে মাত্র ১০ রান করেছিলেন পঞ্জাব তনয়। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। ফের একবার বাবর আজমের দলের বিরুদ্ধে বাইশ গজের যুদ্ধে নামবে ভারত। এর আগে শুভমান স্বীকার করে নিলেন যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার অনুভূতি সবসময় আলাদা। এমন আগুনে তিন জোরে বোলারের বিরুদ্ধে খেলার আগে একটি বাড়তি চাপ থেকেই যায়। শুভমনের সাংবাদিক বৈঠকের আরও কয়েকটি অংশ সংবাদ প্রতিদিন.ইন-এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।
শাহিনের বিরুদ্ধে খেলার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি: ওদের তিন পেস বোলারই বিশ্বমানের। এদের মধ্যে শাহিন শাহ আফ্রিদির কথা আলাদা ভাবে বলতেই হবে। ও প্রথম ম্যাচে আমাদের যথেষ্ট বেগ দিয়েছে। আর তাই এবার শাহিনের বিরুদ্ধে খেলার জন্য নেটে বাঁহাতি থ্রো ডাউন স্পেশালিস্টের সাহায্য নিয়েছি। যাতে বাইরে যাওয়া ডেলিভারির মোকাবিলা করা যায়। আমরা সবাই জানি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা একটা অনুভূতি বহন করে। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে এই প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। তাই বাড়তি চাপ থাকা খুব স্বাভাবিক ছিল। জানি বিশ্বকাপেও এই চাপ নিয়েই খেলতে হবে। তবে সেই চাপ নিয়ে খেলার জন্য আমি মানসিক ভাবে প্রস্তুত। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।
আরও পড়ুন: কিপিং করলেন কেএল রাহুল, ঈশান কি দলের বাইরে? পাক দমন করতে ভারতের মাথায় কোন অঙ্ক?
ওপেনিং পার্টনার হিসেবে রোহিত শর্মা: রোহিত ভাই সবসময় বোলারদের পিটিয়ে দ্রুত রান তুলতে পছন্দ করে। আমিও ঠিক সেই মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামি। আমাদের দু’জনের ব্যাটিং ঘরানা আলাদা হলেও, লক্ষ্য এক। কঠিন সময় বিপক্ষের উপর চাপ বাড়িয়ে দ্রুত রান তোলাই আমাদের টার্গেট। আগামী দিনেও সেই লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব।
নিজের সাম্প্রতিক ফর্ম: আমি মনে করি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে আমার কোনও টেকনিক্যাল সমস্যা ছিল না। বরং এটা মেনে নিতে অসুবিধা নেই যে ওদের পেস বোলাররা ভাল লাইন-লেন্থ বজায় রেখে বোলিং করছিল। মাঝেমধ্যে কিছু কিছু জিনিস ব্যাটারদের হাতে থাকে না। গত ম্যাচে সেটাই ঘটেছিল। তবে এবার আমি বিপক্ষকে মোকাবিলা করার জন্য একেবারে প্রস্তুত। জানি এই পর্যায়ে এসে সেরা বাঁহাতি পেসারদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। এবং সাফল্যের সঙ্গে রান করতে হবে। শাহিন উইকেটের বাইরে ও ভিতরে বলকে ভাল সুইং করাতে পারে। অন্যদিকে আবার হ্যারিস রাউফ ও নাশিম শাহের বলে রয়েছে পেসের সঙ্গে রয়েছে সিম মুভমেন্ট। আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লাগাতার খেলি না। তাই হয়তো রান তুলতে অসুবিধা হয়েছিল। তবে অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। আমরা বড় রান তুলে জেতার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব।
[আরও পড়ুন: ‘লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত’, ভারত-পাক ম্যাচের রিজার্ভ ডে নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রসাদ]
কেএল রাহুল না ঈশান কিষাণ?: বাইরের লোকজন আমাদের দলের কম্বিনেশন নিয়ে যাই বলুক, আমাদের ড্রেসিংরুমে এটা নিয়ে বিন্দুমাত্র বিভ্রান্তি কিংবা সন্দেহ নেই। কোন পরিস্থিতিতে কেমন দল গড়া হবে সেটা নিয়ে আমাদের প্রতি মুহূর্তে আলোচনা হয়। আমাদের লক্ষ্য একেবারে স্থির। কাকে কোন পজিশনে খেলানো হবে সেটা আমরা খুব ভালভাবে জানি।
বড় রান গড়াই লক্ষ্য: আমাদের ব্যাটিং অর্ডার যথেষ্ট শক্তিশালী। নিজেদের সামর্থ অনুসারে পারফর্ম করতে পারলে বড় রান করা একেবারেই কঠিন নয়। আর সেটাই লক্ষ্য। গত ম্যাচে আমাদের মিডল অর্ডার দারুণ পারফর্ম করেছিল। এবার টপ অর্ডার ব্যাটারদের অনেক বেশি দায়িত্ব নিতে হবে।