সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের কথা। শাহিন শাহ আফ্রিদির (Shaheen Shah Afridi) বলে প্রথম আউট হতেই তুমুল আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) নাকি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের পেস বোলারকে খেলতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন। তবে ফের একবার সবাইকে ভুল প্রমাণিত করলেন ‘কিং কোহলি’ (King Kohli)। চলতি প্রতিযোগিতার সুপার ফোরের লড়াইয়ে বাবর আজমের (Babar Azam) বোলারদের বুঝে নিলেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তন অধিনায়ক। কেএল রাহুলের (KL Rahul) পর এই ম্যাচে ভারতের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসাবে কোহলির ব্য়াট থেকে এল শতরান। ৯৪ বলে ১২২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ার সুবাদে পেলেন ‘ম্যাচের সেরা’ পুরষ্কার। মারকুটে ইনিংসে মারলেন ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা। তবুও বিরাটের মুখে ক্লান্তির কথা।
কিন্তু কেন? বিরাটের মতো সুপার ফিট ক্রিকেটার কেন ক্লান্তি নিয়ে কথা বলবেন? আসলে ভারত বনাম পাক ম্যাচ রিজার্ভ ডে-তে যেতেই শুরু হয়েছে যত সমস্যা। কারণ পুরোনো সূচি অনুসারে যে মঙ্গলবার অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বর রাতেই ফের শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাইশ গজের যুদ্ধে তাঁকে নামতে হবে। সেটা নিয়ে আপত্তি না করলেও, তিনি যে ক্লান্ত সেটা পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জানাতে ভুলে যাননি বিরাট।
[আরও পড়ুন: বিরাট-রাহুলের জোড়া শতরানের পর কুলদীপের পাঁচ উইকেট, ২২৮ রানে জিতে পাক বধ করল টিম ইন্ডিয়া]
ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে তিনি বলেন, “আমি ভেবেই এসেছি, অনুরোধ করব, যতটা সংক্ষেপে সারা যায়।” সঞ্চালকও কথা দেন, তিনটির বেশি প্রশ্ন করবেন না। পরপর দু-দিন ম্য়াচ খেলে ক্লান্ত বিরাট? নিজের ইনিংস প্রসঙ্গে বলছেন, “দলের কাজে লাগবে, নিজেকে এ ভাবেই প্রস্তুত করেছি। ভাল শুরু না হলেও যে বড় ইনিংস খেলা যায়, তার একটা দারুণ উদাহরণ এই ম্যাচটা। রাহুলের শুরুটা আমার চেয়ে ভাল হয়েছিল। স্ট্রাইকরেটে ওকে ছুঁতে চাইছিলাম। যেখানে পৌঁছতে চেয়েছিলাম, পেরেছি। এর জন্যই ফিটনেস নিয়ে আমার এত গর্ব। বড় শটের চেয়ে গ্যাপে খেলে দু-রান নেওয়া সহজ। আগেও এর ফল পেয়েছি। এবারও পেলাম।”
পাকিস্তান ম্যাচ এখন অতীত। ফাইনালে যেতে হলে এবার শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হবে। আর কয়েক ঘণ্টা পরেই ভারতীয় দল এই প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে নামবে। সেই প্রশ্ন ধেয়ে আসতেই বিরাট যোগ করেন, “আমার ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে প্রথম বার এমনটা হতে চলেছে। সৌভাগ্যবশত আমরা টেস্ট প্লেয়ার। সুতরাং, পরপর খেলতে হলেও সমস্যা নেই। বিশ্রাম জরুরি। রান নেওয়ার মাঝে মাঝে এটাও ভাবছিলাম। নভেম্বরে ৩৫ হয়েছে। নিজের ফিটনেস নিয়েও ভাবতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ৪৭টি সেঞ্চুরি, ১৩ হাজার রান করে বাইশ গজে ফের স্বমহিমায় বিরাট]
তিনি পাকিস্তানকে কীভাবে বধ করেছেন সেটা গোটা দুনিয়া দেখেছে। তবে বৃষ্টিও কিন্তু এই ম্যাচে বারবার বাধা দিয়েছিল। আর তাই গ্রাউন্ডসম্যানদের ধন্যবাদ দিলেন তিনি। বললেন, “সমস্ত মাঠকর্মীকে কুর্নিশ। ওরা এত পরিশ্রম করেছে বলেই খেলাটা হল।”
এক দিনের ক্রিকেটে ১৩ হাজার রান সেরে নিলেন ‘কিং কোহলি’। দ্রুততম ব্যাটার হিসাবে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি। একইসঙ্গে সেরে নিলেন ৫০ ওভারের ফরম্যাটে তাঁর ৪৭তম শতরান। ফলে বোঝাই যাচ্ছে আর তিনটি শতরান করতে পারলেই টপকে যাবেন তাঁর আইডল শচীন তেন্ডুলকরকে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আরও একটি শতরান কি অপেক্ষা করছে?