সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রীড়া জগতের যে কোনও ম্যাচে ভারত-পাকিস্তান (IND vs PAK) ম্যাচ নিয়ে আলাদা উন্মাদনা থাকে। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বাইশ গজের যুদ্ধে মুখোমুখি হলে মাঠ ও মাঠের বাইরে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। যদিও সাম্প্রতিক কালে বাবর আজম (Babar Azam)-মহম্মদ রিজওয়ানদের (Mohammad Rizwan) পারফরম্যান্স দেখার পর থেকে ‘মাদার অফ অল ব্যাটল’কে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তন ওপেনারের দাবি ভারত-পাকিস্তান নয়, অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের ম্যাচ নিয়ে এই মুহূর্তে ক্রিকেটপ্রেমীরা অনেক বেশি উত্তেজিত থাকেন। যদিও অনেকের দাবি, বরাবরের মতো এবারও গম্ভীর নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।
গম্ভীর বলেছেন, “জানি অতীতে পাকিস্তান অনেকবার ভারতকে হারিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক কালে দুই দেশের পারফরম্যান্স বিচার করলে ভারত অনেক এগিয়ে রয়েছে। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই ভারতের থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। এমন প্রেক্ষাপটে বিরাট কোহলি (Virat Kohli)-রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma) পাকিস্তানকে হারালে সেটা খবর হবে না। তবে পাকিস্তান যদি ভারতকে হারায় তাহলেই সেটা ‘অঘটন’ বলে বিবেচিত হবে। তাই এই মুহূর্তে আমার কাছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের কোনও গুরুত্বই নেই।”
[আরও পড়ুন: নতুন বছরে কোন তিন লক্ষ্য পূরণের জন্য মাঠে নামবে রোহিত-বিরাটের টিম ইন্ডিয়া?]
শুধু তাই নয়, গম্ভীরের আরও দাবি এই মুহূর্তে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা অনেক বেশি। প্রাক্তন ওপেনার ফের যোগ করেন, “যদি ক্রিকেটীয় দিক থেকে বিচার করেন তাহলে এই মুহূর্তে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের গুরুত্ব অপরিসীম। যারা নিখাদ ক্রিকেটপ্রেমী, তাঁরা কিন্তু ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের দিকেই ভোট দেবেন।”
তবে গম্ভীর যাই বলুন, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে খেলা ৫৯টি টেস্টের মধ্যে ৯টি ম্যাচ জিতেছে ভারত। পাকিস্তানের জয় ১২টি ম্যাচে। একদিনের ক্রিকেটেও জয়ের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। মোট ১৩৫টি ম্যাচে প্রতিবেশী দেশের জয় ৭৩টি। সেখানে ভারতীয় দল জিতেছে ৫৭টি ম্যাচে। যদিও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে ভারত। মোট ১২টি ম্যাচের মধ্যে পাকিস্তান জিতেছে মাত্র ৩বার। সেখানে টিম ইন্ডিয়া ৮টি ম্যাচে জয় পেয়েছিল।
১৩ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে একাধিক সাফল্য পেয়েছিলেন গম্ভীর। তবে সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জয়। সেই দুটি মেগা ফাইনালে গম্ভীরের ব্যাট থেকে এসেছিল ম্যাচ জেতানো রান। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫৪ বলে ৭৫ রান করেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। এর পর ২০১১ সালের ২ এপ্রিল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের বাইশ গজে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে করেছিলেন ১২২ বলে ৯৭ রান। ৫৮টি টেস্ট, ১৪৭টি ওয়ানডে এবং ৩৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবে দুবার কেকেআর-কে আইপিএল জিতিয়েছিলেন। এহেন গম্ভীরকে এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টরের ভূমিকায় দেখা যাবে।