সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন (Ukraine) ইস্যুতে ফের রাশিয়ার পাশেই থাকল ভারত। বুধবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ইউক্রেনের উপরে রুশ হামলা নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনা হলে সেই ভোটাভুটিতে যোগ দিল না নয়াদিল্লি। ১৪১টি দেশ প্রস্তাবের সপক্ষে রায় দিলেও বিরোধিতা করেছে ৫টি দেশ। ভারত-সহ ৩৫টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে। এইভাবে ভোটাভুটিতে যোগ না দিয়ে কার্যত রাশিয়ার পাশেই থাকল ভারত।
এর আগে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও ভোট দেয়নি ভারত। এদিনও সেই একই অবস্থান বজায় রেখেছে নয়াদিল্লি। গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উপরে রাশিয়া ঝাঁপিয়ে পড়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল ভারত শেষ পর্যন্ত কার দিকে থাকবে? রাশিয়া নাকি আমেরিকা? কিন্তু কৌশলগত ভাবে কার্যত ভারসাম্যই রক্ষা করে ভোট দেয়নি ভারত। তবে এই সিদ্ধান্তে আখেরে লাভবানই হয়েছে রাশিয়া। এইভাবে পরোক্ষে ‘বন্ধু’র কাঁধেই হাত রাখার বার্তা দিল ভারত।
[আরও পড়ুন: ‘প্রেমিকাকে খুন করে ফেলেছি’, ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে কুলতলি থানায় হাজির প্রেমিক!]
এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আর কোনও ভারতীয় না থাকলেও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকভ ঘিরে উদ্বেগ রয়েছে। এদিনই চার ঘণ্টার মধ্যে ওই শহর ছেড়ে পার্শ্ববর্তী শহরগুলিতে চলে যাওয়ার জন্য আটক ভারতীয়দের নির্দেশ দেয় বিদেশমন্ত্রক। সূত্রের খবর, ক্রমেই খারকভে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াছে মস্কো। আর তাই এই সিদ্ধান্ত।
এই পরিস্থিতিতে বারবারই বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সন্ধেতেও একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মোদি। সেই বৈঠকে এস জয়শংকর ও পীযূষ গয়ালের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। জানা গিয়েছে, বৈঠকে ইউক্রেনে আটক ভারতীয়, যাঁদের অধিকাংশই পড়ুয়া, তাঁদের ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গেই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়ে খারকভের পরিস্থিতি নিয়ে।
এদিন ফোনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সপ্তাহে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ফোনে কথা হল দুই রাষ্ট্রনায়কের। জানা গিয়েছে, ইউক্রেনে আটকে থাকা সমস্ত ভারতীয়কে নিরাপদে দেশে ফেরানো নিয়েই মূলত তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।