নন্দিতা রায় ও সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আশঙ্কাই সত্যি হল। দিল্লিতে ১৮ তম সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিন ঝড় তুললেন বিরোধীরা। সরকারকে চাপে ফেলতে সংসদের বাইরে সংবিধানের কপি হাতে বিক্ষোভে শামিল বিরোধী INDIA জোট। কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে থেকে শুরু করে তৃণমূলের (TMC) সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, নবনির্বাচিত বাপি হালদার সকলেই নামলেন প্রতিবাদে। সঙ্গী অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদরাও। তাঁদের দাবি, ''সংবিধানকে বাঁচানোর লড়াই করছি আমরা। নতুন সরকার একাধিক বিষয়ে ইতিমধ্যেই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। আর তা রুখতে আমরা প্রথম দিন থেকে সক্রিয়, প্রতিবাদ শুরু করেছি।''
চব্বিশের লোকসভা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এমনিতেই বিরোধীদের চাপের মুখে বিজেপি। তার মধ্যে সর্বভারতীয় একাধিক পরীক্ষায় কেলেঙ্কারির মতো বড় ইস্যু। তা হাতিয়ার করতে এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করেননি বিরোধীরা। INDIA জোটের (INDIA Alliance) সমস্ত শরিক সোমবার নতুন সংসদ ভবনের বাইরে জমায়েত হয়ে নিজেদের বিরোধিতার সুর কার্যত সপ্তমে তুললেন। সংবিধানের কপি হাতে নিয়ে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ থেকে নতুন সংসদ ভবন পর্যন্ত মিছিলে হাঁটলেন বিরোধী সাংসদরা।
[আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে অধরা বর্ষা, জুনে বৃষ্টির ঘাটতি! আশঙ্কার কথা শোনাল হাওয়া অফিস]
ভিন্ন ভিন্ন ইস্যুতেই নতুন সরকারের বিরোধিতা শুরু হয় সোমবার সকাল থেকে। কেন কংগ্রেসের (Congress) আটবারের সাংসদ কে সুরেশকে বাদ দিয়ে প্রোটেম স্পিকার ৭বারের ভর্তৃহরি মহতাব? এই প্রশ্ন তুলে সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা প্রতিবাদে শামিল হন। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) অভিযোগ, মোদি-শাহরা দেশের সংবিধানের উপর আঘাত হানতে চাইছেন, কিন্তু কোনও ক্ষমতা, কোনও শক্তিই সংবিধানকে ছুঁতে পারবেন না।
আর তৃণমূলের ইস্যু, তাদের বাদ দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গাচুক্তির পুনর্নবীকরণ। লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা তথা প্রোটেম স্পিকারের সহযোগী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Bandyopadhyay)স্পষ্ট বক্তব্য, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে জলচুক্তি হল বাংলার তৃণমূল সরকারকে অন্ধকারে রেখে। এটা একেবারে একপাক্ষিক ব্যাপার, গণতন্ত্রের পরিপন্থী। তাই প্রথম দিন থেকে আমরা গণতন্ত্র বাঁচানোর লক্ষ্যে নেমেছি।''
[আরও পড়ুন: তৃতীয়বার ৩ গুণ পরিশ্রমের প্রতিশ্রুতি, নতুন সংসদ ভবনে বিরোধীদের কী বার্তা মোদির?]
এদিকে, সংসদের ভিতরেও স্লোগান তুলে সরগরম করলেন বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সাংসদ হিসেবে শপথ নিতে উঠলে তাঁর উদ্দেশে বিরোধীদের বেঞ্চ থেকে 'NEET', 'NET' স্লোগান তোলা হয়।