বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: কেজরিওয়ালের মুক্তির দাবিতে ইন্ডিয়া জোটের সভায় বিজেপি বিরোধিতায় সুর সপ্তমে তুলল শরিক নেতৃত্ব। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জেলবন্দি অবস্থায় হত্যার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এখন রাজধানী শহরের বেহাল অবস্থার জন্যও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তোলা হয় সমাবেশে। সভায় আপ নেতৃত্ব ছাড়াও হাজির ছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ, তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন, উপনেতা সাগরিকা ঘোষ ও সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল।
মঙ্গলবার দিল্লির যন্তরমন্তরে ইন্ডিয়া ব্লকের সমাবেশ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার যন্তরমন্তরে জমায়েত করল ইন্ডিয়া (INDIA) জোট শরিকরা। তিহার জেলে কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলের নেতারা। দিল্লির রাজেন্দ্র নগরে আইএএস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেসমেন্টে জল ঢুকে তিন পড়ুয়ার মৃত্যুর জন্যও কেন্দ্রকে দায়ী করেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ।
[আরও পড়ুন: নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত বাড়ছে মেট্রো পরিষেবা, যাত্রীদের জন্য সুখবর]
এদিনের সভায় 'ভারত মাতা কি জয়' এবং 'তানাশাহি নহি চলেগা' স্লোগান ওঠে। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার বলেন, “ওরা আপকে ধ্বংস করতে চাইছে। চক্রান্তের অঙ্গ হিসেবে দিল্লির নির্বাচিত সরকারকে দুর্বল করতে চায়। নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী আজ জেলে। কেন্দ্রের সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেই চলেছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের আরও সোচ্চার হতে হবে।” লিবারেশন নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য সভায় বলেন, “আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) তিন বরিষ্ঠ নেতা কেজরিবাল, মণীশ সিসোদিয়া এবং সত্যেন্দ্র জৈন চক্রান্তের শিকার হয়ে জেলে রয়েছেন। দিল্লিতে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য দায়ী মোদি সরকার। উমর খালিদের মতো অসংখ্য সমাজকর্মীকে দিল্লি দাঙ্গার মতো মিথ্যা অভিযোগে গারদে পুরে রেখেছে। ভিমা কোরেগাঁওয়ের মতো ভুয়ো মামলায় স্ট্যান স্বামীকে ওরা হেফাজতে মেরে ফেলেছে। গোটা দেশজুড়ে বিরোধী নেতা এবং সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে বিরাট চক্রান্ত চলছে বলে দাবি দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের। আম আদমির দিল্লি রাজ্য আহ্বায়ক গোপাল রাই বলেন, “জেল হেফাজতে কেজরিওয়ালের সুগারের মাত্রা দিনদিন নামছে। তাঁকে বিচারাধীন আদালত এবং সুপ্রিম কোর্ট জামিন দিয়েছিল। কিন্তু তাঁকে জেলে ভরে রাখতে চক্রান্ত করা হয়েছে।” বিজেপি বিরোধী দলের নেতাদের কেন জেলে ভরতে চাইছে, প্রশ্ন তোলেন গোপাল।
[আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতা-সহ ১০ জায়গায় তল্লাশি]
কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য প্রমোদ তিওয়ারি কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতাকে প্রতিবাদের মুখ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আজ আমরা এখানে আপ এবং কেজরিওয়ালের প্রতি নৈতিক সমর্থন জোগাতে জড়ো হয়েছি। কেজরির গ্রেপ্তারিকে তিনি বেআইনি এবং অসাংবিধানিক বলে বর্ণনা করেন।