সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: শুক্রবার কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছিল বুথফেরত সমীক্ষায় সংবাদমাধ্যমগুলির বিতর্কে অংশ নেবে না শতাব্দীপ্রাচীন দল। কিন্তু এর পরই হাত শিবিরকে কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর খোঁচা ছিল, হার বুঝেই 'পালাতে' চাইছেন রাহুল গান্ধীরা। কিন্তু শনিবারই মত বদলাল কংগ্রেস। এআইসিসির মিডিয়া সংক্রান্ত শাখার ভারপ্রাপ্ত নেতা পবন খেড়া জানিয়ে দিলেন, কেবল কংগ্রেসই নয়, ইন্ডিয়া জোটের সব সহযোগীই এগজিট পোল ডিবেটে অংশগ্রহণ করবেন। এদিন জোটের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এদিন বৈঠকশেষে কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে দাবি করেন, এবারের নির্বাচনে ২৯৫-এর বেশি আসন পাবে ইন্ডিয়া জোট। সেই সঙ্গে এদিনের বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের অনুপস্থিতি নিয়েও মুখ খোলেন বর্ষীয়ান নেতা। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''আমরা জোটবদ্ধ আছি, বিভাজনের চেষ্টা করবেন না।'' বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ বড়জোর ২৩৫ আসন পেতে পারে বলেও দাবি খাড়গের। খাড়গে এদিন জানান, নির্বাচন কমিশনের কাছে পোস্টাল ব্যালট আগে গোনার দাবি জানাবে ইন্ডিয়া জোট। কাল দেখা করার সময়ও চাওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ‘তিনশো পার করবে ইন্ডিয়া’, হুইলচেয়ারে ভোট দিয়ে হুঙ্কার তেজস্বীর]
ভোটের পর্যালোচনা করতে শনিবার দিল্লিতে বৈঠক ডেকেছিল ইন্ডিয়া। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ছাড়া জোট শিবিরের প্রায় সব বড় নেতা উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে। কংগ্রেসের তরফে খাড়গে, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, আপের তরফে কেজরিওয়াল, ভগবন্ত মানরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। ছিলেন তেজস্বী যাদব, অখিলেশ যাদবও। শরদ পওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরিরাও এদিনের বৈঠকে যোগ দেন। সেই পর্যালোচনা বৈঠক সেরেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ঘোষণা করলেন, “বিজেপির তৈরি রটনায় কান দেবেন না।'' দাবি করেন, ২৯৫-এর বেশি আসন পেয়ে সরকার গড়তে চলেছে ইন্ডিয়া জোট।