সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ স্ত্রী। তা সহ্য করতে পারেননি স্বামী! তাঁকে 'মুক্তি' দিতে খুন করে আত্মঘাতী হলেন তিনি। লিখে গিয়েছেন সুইসাইড নোট। সেখানে স্ত্রীর দেহ দাহ না করে মেডিক্যাল কলেজে দান করার কথা বলেছেন তিনি। ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া নোটে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের নাসিক-এ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী বৃদ্ধের নাম মুরলীধর যোশি। ৮৭ বছর মুরলী অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। জেল রোড এলাকায় নারায়ণ বাপুনগরের বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা। বুধবার রাতে ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় মুরলীর। অন্যদিকে বেডরুমে শোয়ানো ছিল তাঁর ৭৯ বছররে বৃদ্ধা স্ত্রী লতার দেহ।
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, ঘর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, সেখানে মুরলীধর লিখেছেন, স্ত্রীর অসুস্থতা তিনি সহ্য করতে পারছিলেন না। তাঁকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন। সঙ্গে দুই ছেলেকে নির্দেশ দিয়েছেন তাঁদের কেয়ারটেকারকে যেন ৫০হাজার টাকা দেওয়া হয়।
বৃদ্ধ দম্পতির দুই ছেলে রয়েছেন। তাঁরা কর্মসূত্রে অন্য জায়গায় থাকেন। বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে দেখাশোনা করার জন্য কেয়ারটেকার ছিলেন। পুলিশকে সেই কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বিকেল ৪টে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। ৬টা নাগাদ ফিরে আসেন। কিন্তু অনেকবার ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেন তিনি। পুলিশ দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় মুরলী ও শায়িত অবস্থায় তাঁর স্ত্রী লতাকে উদ্ধার করে। হাসপাতালে পাঠালে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এদিকে পুরো ঘটনার তদন্তে দম্পতির দুই সন্তান ও কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তদন্তকারী এক কর্তা বলেন, "প্রাথমিকভাবে একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কোনও ফাঁক না রাখতে বৃদ্ধের দুই সন্তান ও কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা একটা সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছি। সেখানে বৃদ্ধ স্ত্রীকে খুনের কথা জানিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে লিখে গিয়েছেন। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
